শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতা অবিনাশী গান’ আবৃত্তির মাধ্যমে কাজী সব্যসাচীকে স্মরণ করে এক কবিতাময় সন্ধ্যার সূচনা করেন আবৃত্তিশিল্পী তাপস মাইতি। তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছিলেন দল ‘আবৃত্তির অনুভবের’ ১০ সদস্য।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের গাইমুখে সংঘমিত্র কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে ‘স্মরণে সব্যসাচী’ শীর্ষক এক কবিতপাঠ ও গানের আসর বসেছিল। এই সন্ধ্যায় বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী কাজী সব্যসাচীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন তাপস মাইতি ও তাঁর দল ‘আবৃত্তির অনুভবে’। ব্যতিক্রমী এই সন্ধ্যার আয়োজক ছিলেন সংঘমিত্রর কর্ণধার শ্রী পার্থ রায়।

‘স্মরণে সব্যসাচী’ সন্ধ্যার প্রধান অতিথি ছিলেন কাজী পরিবারের সদস্য সংগীতশিল্পী নূপুর কাজী। মুম্বাই শহরে আধুনিক আবৃত্তি শিল্পের পথিকৃৎ কাজী সব্যসাচী স্মরণে এই আয়োজন দ্বিতীয় বর্ষে পা রাখল। প্রথম বর্ষে উপস্থিত ছিলেন কাজী সব্যসাচীর কন্যা খিলখিল কাজী।

শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতা অবিনাশী গান’ আবৃত্তির মাধ্যমে কাজী সব্যসাচীকে স্মরণ করে এক কবিতাময় সন্ধ্যার সূচনা করেন আবৃত্তিশিল্পী তাপস মাইতি।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স মরণ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ