ছুটি না পেয়ে, যানবাহন না পেয়ে, ভোগান্তি এড়াতে নানা কারণে ঈদের আগে ঢাকা ছাড়তে পারেননি অনেকে। তাই ঈদের পরদিনও গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন অনেকে। তবে পথে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কাজলা এলাকা ঘুরে অনেককে ঢাকা ছাড়াতে দেখা গেছে।

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেউ কর্মব্যস্ততার কারণে, কেউবা ভোগান্তি এড়াতেই ঈদের পরদিন ঢাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। পুরো পরিবার, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে অনেকে যাচ্ছেন।

নুরজাহান বেগম নামে এক যাত্রী বলেন, “বায়তুল মোকাররমে আমাদের দোকান। গতকাল সকাল ৭টা পর্যন্ত দোকান খোলা ছিলো। এরপর কী আর যাওয়া সম্ভব। আজ সবাই মিলে গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম যাচ্ছি। আমাদের মত অনেকেই দেখছি ঢাকা ছাড়তেছে।”

তানভীর আলম নামে এক যাত্রী বলেন, “পরিবারসহ ঢাকায় ঈদ করেছি। এবার ঈদে লম্বা ছুটি। হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছি গ্রাম থেকে ঘুরে আসি। এজন্য যাচ্ছি।”

কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের বাসচালকের সহকারী হায়দার জানান, এবার ঈদের সময় যাত্রীর চাপ খুব বেশি ছিল না। তবে আজও অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন। 

ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, “ঈদের সময়, তাই ২০/৩০ টাকা বেশিই নিচ্ছি। ঈদ বলে কথা।”
ছোট বাচ্চা ও নানিকে নিয়ে সিলেট যাবেন সালমা রহমান। তিনি বলেন, “আগে টিকিট পাইনি। বয়স্ক মানুষ, বাচ্চা নিয়ে টিকিট ছাড়া যাওয়া সম্ভব না। তাই আগে যাইনি। আজকে টিকিট পেয়েছি। একটু পর বাস ছাড়বে।”

ঢাকা/মামুন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনে পিআরের বিকল্প নেই: আব্দুল্লাহ তাহের

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটের সংখ্যানুপাতে (পিআর) সংসদের আসন বণ্টন পদ্ধতির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। 

মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণে কার্যালয়ে জুলাই-আগস্টের শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ডা. তাহের বলেন, যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করতে সহযোগিতা করছে না, তারাও ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ থাকবে না বলেই কেউ কেউ পিআর পদ্ধতিকে ভয় পায়। যারা নির্বাচনের আগেই সংসদে ২৮০ আসন পাবে বলে দাবি করে, তারাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা। তারা মূলত হাসিনা মার্কা যেনতেন নির্বাচন চায়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে, বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে। মানুষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হারাবে। রাষ্ট্র কর্তৃক জুলুমের শিকার হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় জুলুম ও বৈষম্য ছিল। ২০২৪ সালে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জুলুম থেকে জাতি স্বাধীনতা লাভ করেছে। ২৪ এর স্বাধীনতা আর কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-জনতার অর্জিত নতুন বাংলাদেশ মৌলিক পরিবর্তন চায়। বিএনপিসহ তিনটি দল ছাড়া সবাই শর্তহীনভাবে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ ১০ বছরের সীমাবদ্ধ চায়। কারও উদ্দেশ্য যদি খারাপ হয়, তাহলে মহৎ উদ্দেশ্যে তিনি সমর্থন জানান না, জানাতে পারেন না। 

দক্ষিণ জামায়াতের  নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন মহানগরের নেতা এবং আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ