বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য হামজা দেওয়ান চৌধুরী ঈদ উদযাপনেও ফিলিস্তিনের জন্য ভালোবাসা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ঈদ উদযাপনের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন এই প্রবাসী ফুটবলার।  
 
ইংল্যান্ডের এক স্টেডিয়ামে ঈদের নামাজ পড়ার মুহূর্তের একটি ছবি শেয়ার করেছেন হামজা। এছাড়া অন্য একটি ছবিতে তাকে কালো ফিতার একটি ব্রেসলেট পরতে দেখা যায়, যেখানে সংযুক্ত রয়েছে লকেট আকৃতির ফিলিস্তিনি পতাকা। 

তৃতীয় ছবিতে সেই পতাকাটি আরও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। শুধু তাই নয়, তার হাতের নিচে রাখা ছিল ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী ‘কেফিয়াহ’ স্কার্ফ, যা ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতীক। ঈদ আনন্দের মাঝেও যে হামজার মন কাঁদছে ফিলিস্তিনের জন্য, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তার এই প্রতীকী বার্তায়।

ইউরোপিয়ান ফুটবলে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ধারা বেশ আগে থেকেই চলছে। তবে মাঠে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোর রীতি চালু করার পথিকৃৎদের একজন হামজাই।  

এর আগেও এক ম্যাচে গ্যালারিতে ফিলিস্তিনের পতাকা দেখে তিনি ম্যাচ জিতলে সেটি ওড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। পরবর্তীতে স্টেডিয়ামের এক নিরাপত্তারক্ষীর মাধ্যমে পতাকাটি সংগ্রহ করে মাঠে উড়িয়েছিলেন তিনি। তার সেই প্রতিবাদ বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে এবং প্রশংসিত হন তিনি ও ফরাসি ডিফেন্ডার ওয়েসলি ফোফানা।  

হামজার এই ছবি দেখে নেটিজেনরা প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তাকে। এদিকে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এতে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে হামজার ঈদ উদযাপনের মাঝেও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলের সড়কে ঝরল ২ প্রাণ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোরের দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা আন্ডারপাস এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আকুয়া এলাকার কাছিম উদ্দিনের ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক সাহেব আলী (৪৫) এবং একই উপজেলার ভোক্তা এলাকার নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে যাত্রী আব্দুল আলীম (৬০)।

আরো পড়ুন:

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, তরুণের মৃত্যু

চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে যুবক নিহত

পুলিশ জানায়, ঢাকাগামী সার্ভিস লেনে একটি ট্রাক সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই যাত্রী আলীম মারা যান। গুরুতর আহত চালক সাহেব আলীমকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বলেন, “নিহতদের মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ