ঈদ উদযাপনে ফিলিস্তিনকে স্মরণ করলেন হামজা চৌধুরী
Published: 1st, April 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য হামজা দেওয়ান চৌধুরী ঈদ উদযাপনেও ফিলিস্তিনের জন্য ভালোবাসা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ঈদ উদযাপনের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন এই প্রবাসী ফুটবলার।
ইংল্যান্ডের এক স্টেডিয়ামে ঈদের নামাজ পড়ার মুহূর্তের একটি ছবি শেয়ার করেছেন হামজা। এছাড়া অন্য একটি ছবিতে তাকে কালো ফিতার একটি ব্রেসলেট পরতে দেখা যায়, যেখানে সংযুক্ত রয়েছে লকেট আকৃতির ফিলিস্তিনি পতাকা।
তৃতীয় ছবিতে সেই পতাকাটি আরও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। শুধু তাই নয়, তার হাতের নিচে রাখা ছিল ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী ‘কেফিয়াহ’ স্কার্ফ, যা ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতীক। ঈদ আনন্দের মাঝেও যে হামজার মন কাঁদছে ফিলিস্তিনের জন্য, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তার এই প্রতীকী বার্তায়।
ইউরোপিয়ান ফুটবলে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ধারা বেশ আগে থেকেই চলছে। তবে মাঠে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোর রীতি চালু করার পথিকৃৎদের একজন হামজাই।
এর আগেও এক ম্যাচে গ্যালারিতে ফিলিস্তিনের পতাকা দেখে তিনি ম্যাচ জিতলে সেটি ওড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। পরবর্তীতে স্টেডিয়ামের এক নিরাপত্তারক্ষীর মাধ্যমে পতাকাটি সংগ্রহ করে মাঠে উড়িয়েছিলেন তিনি। তার সেই প্রতিবাদ বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে এবং প্রশংসিত হন তিনি ও ফরাসি ডিফেন্ডার ওয়েসলি ফোফানা।
হামজার এই ছবি দেখে নেটিজেনরা প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তাকে। এদিকে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেঙে ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এতে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে হামজার ঈদ উদযাপনের মাঝেও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।