পবিত্র ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।

সোমবার (৩১ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় প্রবাসীরা কনসাল জেনারেলের সঙ্গে দুবাই আল-মামজারস্থ বাসভবনে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি নৈশভোজে অংশ নেন। কনসাল জেনারেল ও তার স্ত্রী অতিথিদের স্বাগত জানান ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএইর সভাপতি মামুনুর রশীদসহ অন্য সাংবাদিকনেতারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশিদের এক মিলনমেলায় হয়।

কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে প্রবাসীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান এবং বিদেশে বাংলাদেশের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি আমিরাতের আইন-কানুন মেনে চলার পরামর্শ দেন।

কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আমন্ত্রিত সবাই একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে কনসাল জেনারেলের নিমন্ত্রণে আসতে পেরে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনস ল জ ন র ল প রব স

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ