মেসির দেহরক্ষীর মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি
Published: 1st, April 2025 GMT
লিওনেল মেসির দেহরক্ষী ইয়াসিন চুকোকে মাঠে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেজর লিগ সকার (এমএলএস) কর্তৃপক্ষ। শুধু এমএলএস নয়, কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ম্যাচগুলোর সাইডলাইনেও তার উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০২৩ সালে মেসি যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ৩৫ বছর বয়সী ইয়াসিন চুকোকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পেশাদার দেহরক্ষী হিসেবে ২৪ ঘণ্টাই মেসি ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে তিনি শুধুমাত্র মাঠের বাইরেই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় ইয়াসিন চুকো বলেন, ‘আমাকে আর মাঠে থাকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আমি ইউরোপে সাত বছর লিগ ওয়ান ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কাজ করেছি, সেখানে মাত্র ছয়জন দর্শক মাঠে ঢুকেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর গত ২০ মাসে এখানে ১৬ জন মাঠে প্রবেশ করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সাবেক নেভি সিল সদস্য ইয়াসিন চুকো মনে করেন, মেসির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তার অন্যতম দায়িত্ব। তিনি বলেন, ‘এখানে একটি বিশাল সমস্যা রয়েছে, আমি কোনো সমস্যা নই। আমাকে লিওকে সাহায্য করতে দিন… আমি এমএলএস এবং কনক্যাকাফ ভালোবাসি, তবে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘আমি কাউকে ছোট করছি না, তবে ইউরোপ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বলছি, এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি প্রয়োজন।’
এমএলএস কর্তৃপক্ষের মতে, মাঠের ভেতরে দেহরক্ষীর উপস্থিতি নিয়মের বাইরে। যদিও মেসির মতো তারকার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়, তবে নিয়ম ভঙ্গের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ হরক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: কী, কেন, কীভাবে
ফিফা বিশ্বকাপ বলতে অনেকে যা বোঝেন, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জুন–জুলাইয়ে। এবারের জুন–জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ক্লাব নিয়ে আয়োজিত বিশ্বকাপ। আনুষ্ঠানিকভাবে যা ‘ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ’ নামে পরিচিত।
ক্লাব বিশ্বকাপ কি নতুন কিছু
না। ২০০০ সাল থেকেই ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ হয়ে আসছে। কখনো ৬ দল, কখনো ৭ দল নিয়ে। তবে বিভিন্ন মহাদেশের ক্লাব প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপ খুব বেশি সাড়া ফেলতে পারেনি। বছরের শেষ দিকে ১০ দিনের মধ্যে অল্প কটি ম্যাচের মধ্যে শেষ হয়ে যেত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এই করে করে এরই মধ্যে আয়োজিত হয়ে গেছে ২০টি আসর। তবে এবার ক্লাব বিশ্বকাপকে বৈশ্বিক রূপ দেওয়ার জন্য টুর্নামেন্টের কলেবর বাড়িয়েছে ফিফা। পৃথিবীর ছয় মহাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে মোট ৩২টি ক্লাব, যেমনটা জাতীয় দলের বিশ্বকাপে এত দিন হয়ে এসেছে।
ফরম্যাট কি বিশ্বকাপের মতোই
হ্যাঁ, জাতীয় দলগুলোকে নিয়ে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের মতোই (যদিও ২০২৬ আসরে অংশ নেবে ৪৮টি দেশ)। ৩২টি দল মোট ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়েছে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে শেষ ষোলোয়, সেখান থেকে একের পর এক নকআউট। এক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৬৩টি ম্যাচ।
৩২ দল কীভাবে চূড়ান্ত হয়েছে?
দল চূড়ান্ত হয়েছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। মোটের ওপর সর্বশেষ চার মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদেরই জায়গা দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২টি ক্লাব আছে ইউরোপের, দক্ষিণ আমেরিকার আছে ৬টি। আবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল ওশেনিয়া ফুটবল ফেডারেশন থেকেও দল আছে একটি। আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ ছিল একটি জায়গা। ২০২৪ এমএলএস সাপোর্টাস শিল্ড জিতে সেটি পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। এমএলএস থেকে দল অবশ্য আরও একটি আছে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতা থাকলেও একই মালিকানার দুটি ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না। প্লে–অফের মাধ্যমে একটি চূড়ান্ত হবে। এই প্রক্রিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি যুক্ত হয়েছে।
দলগুলো কারা
এশিয়া (এএফসি): আল হিলাল (সৌদি আরব), উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস (জাপান), আল আইন (সংযুক্ত আরব আমিরাত), উলসান (দক্ষিণ কোরিয়া)।
আফ্রিকা (সিএএফ): আল–আহলি (মিসর), ওয়াইদাদ (মরক্কো), এসপেরানস দি তিউনিস (তিউনিসিয়া), মামেলোদি সানডাউনস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
উত্তর, মধ্য ও ক্যারিবিয়ান (কনক্যাকাফ): মনটেরি (মেক্সিকো), সিয়াটল সাউন্ডার্স (যুক্তরাষ্ট্র), পাচুয়া (মেক্সিকো), লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (যুক্তরাষ্ট্র)।
দক্ষিণ আমেরিকা (কনমেবল): পালমেইরাস (ব্রাজিল), ফ্ল্যামেঙ্গো (ব্রাজিল), ফ্লুমিনেজ (ব্রাজিল), বোতাফোগো (ব্রাজিল), রিভার প্লেট (আর্জেন্টিনা), বোকা জুনিয়র্স (আর্জেন্টিনা)।
ইউরোপ (উয়েফা): চেলসি (ইংল্যান্ড), রিয়াল মাদ্রিদ (স্পেন), ম্যানচেস্টার সিটি (ইংল্যান্ড), বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি), পিএসজি (ফ্রান্স), ইন্টার মিলান (ইতালি), পোর্তো (পর্তুগাল), বেনফিকা (পর্তুগাল), বরুসিয়া ডর্টমুন্ড (জার্মানি), জুভেন্টাস (ইতালি), আতলেতিকো মাদ্রিদ (স্পেন), রেড বুল সালজবুর্গ (অস্ট্রিয়া)।
ওশেনিয়া (ওএফসি): অকল্যান্ড সিটি (নিউজিল্যান্ড)।
আয়োজক দেশের দল: ইন্টার মায়ামি (যুক্তরাষ্ট্র)।
ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি যখন মিসরে।