চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একটি গ্রামীণ সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ওমন খান (২০) নামের এক তরুণ। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের সেনেরহাট বাজারের দক্ষিণে হাজীপাড়ার মুখ সেতুর ওপর এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত তরুণ হেলমেট ছাড়াই বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। সেনেরহাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অতিরিক্ত গতি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বড়হাতিয়া হাজীপাড়ার রাস্তার মুখে সেতুর এক পাশের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মোটরসাইকেলটির। এতে গুরুতর আহত হন ওমন নামের ওই তরুণ। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোবিন্দ চন্দ্র দাশ প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বেপরোয়া গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি সেতুর পিলারে ধাক্কা খায়। এ সময় হেলমেট না পরায় ওই তরুণ মাথায় গুরুতর আঘাত পান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ