রাজধানীর মতিঝিলে বাসের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম রুহুল আমিন শেখ (৫৫)। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য রুহুল আমিনের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন।

ওসি মেজবাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলের কমলাপুর বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে বাসের ধাক্কায় রুহুল আমিন শেখের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে চালককে।

রুহুল আমিনের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে। তিনি সবুজবাগ এলাকায় থাকতেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র হ ল আম ন মত ঝ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সুরা নাজিআতের সারমর্ম

সুরা নাজিআত পবিত্র কোরআনের ৭৯তম সুরা। এই সুরা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। মানুষের মনে আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস আনা এই সুরাটির মূল শিক্ষা। এই পৃথিবী, আকাশ ও মানুষের সৃষ্টির পেছনে যে মহান আল্লাহর কুশলী হাত ক্রিয়াশীল এবং তাঁরই প্রদত্ত নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলছে; আবার তাঁরই ইচ্ছায় একদিন সব ভেঙে পড়বে ও আল্লাহর সামনে সবাইকে উপস্থিত করা হবে। নানা ভঙ্গিতে ও নানা যুক্তিতে মানুষের মধ্যে এই বিশ্বাস জাগিয়ে তোলা হয়েছে। পরকালের প্রতি বিশ্বাসই পারে মানুষকে সকল পাপাচার থেকে মুক্ত থেকে পবিত্র জীবন-যাপন করাতে।

১ থেকে ২ আয়াতে পাঁচটি গুণবিশিষ্ট সত্তার কসম খাওয়া হয়েছে। ফেরেশতারাও অদৃশ্য এবং কিয়ামত সংঘটন ও বেহেশত-দোজখও অদৃশ্য। অথচ আরবের লোকেরা ফেরেশতাদের অস্তিত্ব স্বীকার করতো। ৩ থেকে ৫ আয়াতে বিশ্বব্যবস্থা পরিচালনায় ফেরেশতারা নিয়োজিত আছেন। তাঁরা আল্লাহর সব হুকুম পালনে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান। ৬ থেকে ১৪ আয়াতে আল্লাহপাকের নির্দেশে ইসরাফিল (আ.)-এর প্রথম ফুৎকারেই শুরু হয়ে যাবে। প্রচণ্ড ভূমিকম্প, কোনো নির্দিষ্ট এলাকা নয়, সমগ্র বিশ্বব্যাপী; তাতে পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা সবকিছু একাকার হয়ে এক সমতল ভূমিতে পরিণত হবে। কিয়ামত সংঘটনের চিত্র বিভিন্ন সুরায় নানাভাবে বর্ণিত হয়েছে। পরবর্তী ফুৎকারে সবাই জেগে উঠবে। মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। বিশেষ করে অবিশ্বাসীরা।

আরও পড়ুনসুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের বিশেষ ফজিলত০৭ মার্চ ২০২৫

১৫ থেকে ২৬ আয়াতে বলা হয়েছে, আরবের লোকেরা মুহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গে বিরুদ্ধাচরণ করেছে এটা নতুন নয়, তেমনি আগের নবীদের সঙ্গেও লোকেরা একই আচরণ করেছিল। উদাহরণস্বরূপ এখানে মুসা (আ.) কাহিনি উল্লেখ করা হয়েছে। হেদায়াত দানের লক্ষ্যে আল্লাহ মুসা (আ.)-কে নবুওয়াত দানের পর তাঁকে পাঠান ফেরাউনের কাছে। সে সমাজে জাদুর ব্যাপক প্রচলন ছিল। আল্লাহ মুজিজা হিসেবে মুসা (আ.)-কে একটি লাঠি দান করেন। যা ছেড়ে দিলে বিশাল সাপে পরিণত হয়। ফেরাউন মুসা (আ.)-কে নবী মানতে অস্বীকার করে। সীমালঙ্ঘনের কারণে আল্লাহ ফেরাউনকে দুনিয়াতেই অপদস্থ ও ধ্বংস করেছেন। আখেরাতে ভয়াবহ শাস্তি তো রয়েছেই। ফেরাউনের করুণ পরিণতি দুনিয়াবাসীর জন্য একটি শিক্ষা হিসেবে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন। ২৭ থেকে ৩৫ আয়াতে পরকাল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ৩৪ থেকে ৩৬ আয়াতে মানুষের জন্য আল্লাহর নেয়ামত স্মরণ করে দেওয়ার পরই কেয়ামত সংঘটনের কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনসুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত০৭ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ