তরুণীর ফোনে ফাঁদে পড়েন উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, ১৫ লাখ টাকা দিয়ে উদ্ধার
Published: 1st, April 2025 GMT
এক তরুণীকে দিয়ে একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে ফোন করিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছে একটি অপরাধী চক্র। কৌশলে তাঁকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায় চক্রটি। সেখানে একটি কক্ষে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে আরেক তরুণীর সঙ্গে ছবি তোলা হয় এবং ভিডিও ধারণ করা হয়। সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছে তিন কোটি টাকা দাবি করা হয়। একপর্যায়ে স্বজনদের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাবে ১৫ লাখ টাকা জমা করিয়ে এবং পরে ২৫ লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে ছাড়া পান ওই সরকারি কর্মকর্তা।
ছাড়া পাওয়ার পর অপহৃত হওয়ার ঘটনা ভাটারা থানা পুলিশকে জানান ওই সরকারি কর্মকর্তা। পরে যে তরুণীর ফোনের সূত্র ধরে এতসব ঘটনা, সেই তরুণী ও তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে আছেন।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.
অবশ্য ওই তরুণী ও সহযোগী আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে দাবি করেছেন, তাঁরা নিরাপরাধ। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে তাঁদের পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাঁদের জামিন দেওয়া হোক।
আর ভুক্তভোগী কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, পেশাগত কারণে নানা পেশার মানুষ তাঁকে ফোন দেন। কেউ কেউ নিজেকে অসহায় দাবি করে নানা দাবিদাওয়াও জানান। কিন্তু এক তরুণীর ফোনে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরে যেভাবে তাঁকে ধরে নিয়ে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে, সেই ঘটনা ভাবতে গিয়েও আঁতকে ওঠেন।
তরুণীর সঙ্গে থাকা যুবকেরা ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় ওঠান। পরে তাঁর হাত–পা বেঁধে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত ত র কর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়