কেউ অপচেষ্টা করে খালেদা জিয়ার নাম মুছে দিতে পারেনি: ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
Published: 1st, April 2025 GMT
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেছেন, খালেদা জিয়ার নাম কেউ অপচেষ্টা করে মুছে দিতে পারেনি। তিনি বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার নামকরণ করেছিলেন খালেদা জিয়া। একটি গোষ্ঠী তাঁর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা তা পারেনি।
আজ মঙ্গলবার নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় নাগরিক সমাজের আয়োজনে ‘আলোকিত কুইজ অনলাইন প্রতিযোগিতা-২০২৫’–এর সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন নাছির উদ্দীন।
স্থানীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজন করলে শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত হয়। মাদক গ্রহণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে যুবকেরা উৎসাহিত হয়। যেকোনো আন্দোলন–সংগ্রামের স্বার্থে, সুবর্ণচরের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনো ধরনের বিভক্তি আমি চাই না।’
নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষে ভোটদানকে কেন্দ্র করে আমাদের বোন সুবর্ণচরের পারুলকে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় আমরা বিচার চেয়েও এখনো যথাযথ বিচার পাইনি। আমরা আজকের এ মঞ্চ থেকে বোন পারুল ধর্ষণের বিচারের দাবি জানাই।’
আলোকিত প্রজন্ম কুইজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব এম আবদুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি এম জাকারিয়া, চর জব্বর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জামশেদুর রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার পরীক্ষানিয়ন্ত্রক আবদুল আলিম, সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?