কোন কোন উপদেষ্টাকে সরাতে বলেছেন মির্জা ফখরুল
Published: 2nd, April 2025 GMT
শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির টক্কর লেগে আছে। আবার সরকারও যে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থানে সন্তুষ্ট নয়, সে কথা হাবেভাবে উপদেষ্টারা জানিয়ে দিচ্ছেন। বিএনপি যখনই দ্রুত নির্বাচনের দাবি সামনে আনে; ছাত্রনেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়।
সংস্কার ও নির্বাচন পরস্পরের প্রতিপক্ষ নয়। তারপরও কেউ কেউ এটাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন। কয়েক মাস ধরে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে যে বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের একটা টানপোড়েন চলছে, এটা স্পষ্ট। সংস্কার নিয়ে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকেও কোনো আশার বাণী শোনা যাচ্ছে না। যে যার অবস্থানে অনড় আছেন।
ছাত্রনেতৃত্ব থেকে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নতুন বন্দোবস্তের কথা বললেও তাদের কৌশল ও আচরণে পুরোনো রাজনীতির ধারাই বহমান। এনসিপি বলেছে, বিচার ও সংস্কার শেষ হোক, তারপর নির্বাচন। বিএনপির দাবি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যেটুকু সংস্কার দরকার, সেটুকু করা হোক। এর বেশি তারা মানবে না।
বিএনপির প্রবল চাপ সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেননি। অনেকে বলবেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার দায়িত্ব কমিশনের। কিন্তু তারা যখন ডিসেম্বের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা সেই পুরোনো কথাই শোনালেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
এর আগে বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কার চাইলে চলতি বছরের শেষে এবং বেশি সংস্কার চাইলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আবার সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কেউ ডিসেম্বর বা মার্চের কথাও বলেছেন। ডিসেম্বর, মার্চ ও জুনের গোলক ধাঁধা থেকে সরকার কবে বেরিয়ে আসবে?
বিএনপির নেতারা সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও সন্দেহ করেছেন। এর কারণ নতুন করে কেউ কেউ জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলছেন। এনসিপির একজন নেতা পাঁচ বছর মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে দেখতে চাওয়ার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইলে তাঁকে তো নির্বাচিত হতে হবে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতারা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন, তখন বিএনপি রাজি হয়নি। ফলে অন্যান্য দলকেও পিছিয়ে আসতে হয়েছে এবং মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অরাজনৈতিক চরিত্রের একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেটাই সঠিক ছিল। কিন্তু এরপরই আন্দোলনকারী ছাত্রপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে তিনজনকে উপদেষ্টা করা হলে অরাজনৈতিক সরকারের রাজনৈতিক চরিত্র পায়।
বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরোধের এটাও অন্যতম কারণ। দ্বিতীয়ত যেই ছাত্রনেতৃত্ব জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিল, তারাও কয়েক ভাগে বিভক্ত। কেউ দল করেছেন, কেউ আগের অবস্থানে অনড় আছেন, কেউ সাংস্কৃতিক মঞ্চ করেছেন। এদের বাইরে আরেকটি গ্রুপ এনসিপির বাইরে আরেকটি নতুন দল করার ঘোষণা দিয়েছেন।
নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে মতভেদ আছে বলেও বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে এসেছে। একপক্ষ মনে করে, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে দিয়ে যৌক্তিক সময়ে বিদায় নেওয়াই তাদের কর্তব্য। কিন্তু অপর পক্ষের ধারণা, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে ফের স্বৈরাচারের পুনরাগমন ঘটবে। কেবল একটি নির্বাচন করার জন্য এত বড় গণঅভ্যুত্থান হয়নি। তাদের বক্তব্যে এনসিপির নেতাদের প্রতিধ্বনি আছে বলে মনে করেন বিএনপি নেতৃত্ব।এ পটভূমিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঈদের আগের দিন রোববার সংবাদ সম্মেলন করে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, এমন উপদেষ্টাদের অপসারণ চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উচিত, সেই সব উপদেষ্টার অপসারণ করা, যাঁরা তাঁর সরকারের নিরপেক্ষতা নষ্ট করছেন এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন।’
মির্জা ফখরুল কোনো উপদেষ্টার নাম বলেননি। তবে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ‘আসন্ন নির্বাচনের আগে সরকার নিরপেক্ষতা হারালে বিএনপি তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। আমরা সরকারের পূর্ণ নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করি, বিশেষ করে অধ্যাপক ইউনূসের কাছ থেকে। যদি তিনি অনুভব করেন যে তাঁর মন্ত্রিসভার( উপদেষ্টা পরিষদের) কেউ নিরপেক্ষতা নষ্ট করছেন, তবে তাঁদের অপসারণ করা উচিত। তাঁকে (ড.
কথায় বলে বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। বিএনপির মহাসচিব কাদের ইংগিত করেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘সরকারের কিছু উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে সরকারি সম্পদ অপব্যবহার করে থাকেন, সেটা নিশ্চয়ই সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করে’। রাজনৈতিক সরকারের সময়ে নির্বাচনী বৈতরণী পর হতে দলীয় নেতাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হতো বা প্রকল্প নেওয়া হতো। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের তো কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ থাকার কথা নয়। তারপরও বিশেষ বিবেচনায় কোথাও কোথাও বরাদ্দ হচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আপত্তি সেখানেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশে অস্থিতিশীলতা এবং ‘জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ’ দেখা দেবে। তাঁর মতে, ডিসেম্বর হচ্ছে সর্বসম্মত সময়সূচি। নির্বাচন এর পরে গেলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেবে।’
রয়টার্স বলছে, শেখ হাসিনা ও তাঁর দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা পলাতক থাকায় আওয়ামী লীগ কার্যত ভেঙে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছাত্রনেতারা বাংলাদেশের প্রাচীন দল দুটির বাইরে এসে নতুন করে পরিবর্তনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের কুশল বিনিময়ের সময় আরেক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, একটি শক্তি ক্ষমতায় থাকার জন্য নতুন নতুন পন্থা বের করছে; কিন্তু ফ্যাসিস্টরা দাঁড়াতে পারেনি। এই শক্তিও যাতে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশের মানুষ প্রস্তুত রয়েছে।
তিন জ্যেষ্ঠ নেতার বক্তব্য থেকে এটাই ধারণা করা যায় যে তারা ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপি ছাড় দিতে নারাজ। এর আগে দলের একাধিক নেতা গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে আন্দোলনে যাওয়ারও ইংগিত দিয়েছেন।
নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে মতভেদ আছে বলেও বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে এসেছে। একপক্ষ মনে করে, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে দিয়ে যৌক্তিক সময়ে বিদায় নেওয়াই তাদের কর্তব্য। কিন্তু অপর পক্ষের ধারণা, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে ফের স্বৈরাচারের পুনরাগমন ঘটবে। কেবল একটি নির্বাচন করার জন্য এত বড় গণঅভ্যুত্থান হয়নি। তাদের বক্তব্যে এনসিপির নেতাদের প্রতিধ্বনি আছে বলে মনে করেন বিএনপি নেতৃত্ব।
তাহলে কি আমরা আরেকটি অচলাবস্থার দিকে যাচ্ছি?
সোহরাব হাসান, কবি ও প্রথম আলোর যুহ্ম সম্পাদক
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড স ম বর ব এনপ র সরক র র এনস প র ন ব এনপ বল ছ ন র র জন কর ছ ন র জন য করছ ন ফখর ল বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, “দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
বরগুনায় জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মামুন
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
রবিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি মানুষকে নিশ্চয়ই মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে রাজপথের সঙ্গী ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এই বাস্তবতার কারণে হয়তো কিছু সংসদীয় সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনারা এই বাস্তবতাকে মেনে নেবেন।”
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়, সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, “দেশে প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্য নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী নাগরিকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসন আমলে জনগণের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনোই আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা বাড়ছে, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে?... এমন তো হবার কথা ছিল না।”
বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।”
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পরাজত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ‘ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিগত ১৫ বছরে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।”
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান জানান, তবে বিএনপির প্রতি দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের আস্থা, ভালোবাসা থাকায় সে সংকট কাটিয়েছে তার দল।
তারেক রহমান বলেন, “দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে একদিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যতটুকু সম্ভব, যতটুকু যথাসাধ্য সম্ভব আমাদের অবস্থান থেকে আমরা সহযোগিতা করে আসছি।”
দেশে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সামাজিক উদাসীনতা প্রকট হয়ে উঠছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, “নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তাহীন সমাজ নিশ্চয়ই সভ্য সমাজ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।”
সেজন্য তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলসহ বাংলাদেশের সচেতন নারী সমাজকে তাদের দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অনলাইনে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ এবং তার ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাতে বলা হয়, এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে অনলাইনে বিএনপির দলীয় ওয়েবসাইটে গিয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করা যাবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জে ড এম জাহিদ হাসান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ