প্রকাশ্যে বিএনপি নেতাকে কোপালেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা
Published: 2nd, April 2025 GMT
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) প্রকাশ্যে দিনদুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার বিএনপি নেতার নাম জাকির হোসেন আলো (৪৫)। তিনি উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের মনু বেপারী বাড়ির মনু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার জেলা শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জাকির হোসেন। পথে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর ফিরিঙ্গি পোল এলাকায় যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তার পথরোধ করে। পরে জাকির হোসেনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
নোয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসীম বলেন, ‘‘যুবলীগ নেতা পিয়াস ও বাবুর নেতৃত্বে স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে। অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’’
এ বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা পিয়াস ও বাবুর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ব্যবহৃত নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এ ঘটনায় মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/সুজন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ র ন ত কর ম ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’