নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বিএনপির এক নেতাকে ধান ক্ষেতে ফেলে কুপিয়েছেন যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দেবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম উদ্দিন আজ বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
হামলার শিকার বিএনপি নেতার নাম জাকির হোসেন ওরফে আলো (৪৫)। তিনি উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের মনু বেপারী বাড়ির মনু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীদের ভোজের আয়োজন করেন। খাওয়া শেষে জাকির জেলা শহর মাইজদী থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার দেবীপুর গ্রামে পৌঁছলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী তাদের মোটরসাইকেলের বহর আটকে দেন। এরপর যুবলীগ নেতা পিয়াসের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতা জাকিরকে মারধর করতে করতে ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে তাকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়। এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আরাফাত আহমেদ দিপুও আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা পিয়াস ও বাবুলের মোবাইল ফোনে কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
নোয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম বলেন, ‘যুবলীগ নেতা পিয়াস-বাবুর নেতৃত্বে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ এ হামলা চালায়। খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে যাই। তবে আহত বিএনপি নেতা জাকির আমাকে বলেছেন, যুবলীগ নেতা পিয়াস তাকে কুপিয়েছে।’
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ য বল গ সদর উপজ ল য বল গ ন ত ব এনপ র স ন ত কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’