কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
Published: 2nd, April 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় পৃথক দুইটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সদর ও খোকসা উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশাররফ হোসেন তিন জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘গত রাতে সদর উপজেলার কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০
চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৭
নিহতরা হলেন- রাহাত ইসলাম পলাশ (৩০) ও ফাহিম অনিক (২৩)। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। আহত যুবকের নাম তানভীর গণি (২৩)।
এর আগে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খোকসা উপজেলার বিলজানি বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে মঈনুদ্দিন শেখ (৭০) নামের এক নির্মাণশ্রমিক আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মৃত চতুর আলীর ছেলে।
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’