‘মশা মারতে কামান দাগা’ কথাটি যেভাবে এল
Published: 2nd, April 2025 GMT
সে অনেক আগের ঘটনা। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পর ইংরেজরা লর্ড ক্লাইভকে নিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শনে যান। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী একবার তাঁরা কলকাতা পরিদর্শনে আসেন। লর্ডের আগমন উপলক্ষে আলাদা প্যান্ডেল বানানোর পাশাপাশি উঁচু সিংহাসনের মতো কিছু চেয়ারও বসানো হয়। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে লর্ড ক্লাইভ যখন বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, তখনই হামলা শুরু হয় তাঁর ওপর।
না! মানে বাংলার কেউ হামলা করেনি; করেছে মশা! একটি নয়, দুটি নয়, হাজার হাজার মশার অতর্কিতে আক্রমণ। এমন আক্রমণে দিশাহারা হয়ে স্ক্রিপ্টের বাইরে গিয়ে কথা বলতে শুরু করেন লর্ড ক্লাইভ।
‘আই উইল ডেস্ট্রয় বেঙ্গল, সরি, প্রোটেক্ট বেঙ্গল অ্যাট অ্যানি কস্ট। ফর গডস সেক, সামওয়ান প্লিজ ব্রিং সাম গানস অ্যান্ড শুট দিস মসকিউটোস।’
অবস্থা বেগতিক দেখে ইংরেজরা ওখানেই অনুষ্ঠান শেষ করেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে লর্ড ক্লাইভসহ অন্যদের ওপর আক্রমণকারী তিনটি মশাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান তাঁরা।
ইংরেজ শাসকদের কামড়ানোর অপরাধে বন্দী করা হয় এই তিন মশাকে। পরদিন তাদের আদালতে উপস্থিত করা হলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে কী হয়, এ নিয়ে মশা তিনটির কোনো ধারণাই ছিল না। কারণ, এর আগে কামড়ানোর অপরাধে মানুষের চড়থাপ্পড় খেলেও কখনো রিমান্ডের খপ্পরে তারা পড়েনি। ছিদ্রহীন নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় একটা ছোট রুমে রাখা হলো তাদের।
‘দোস্ত, আমরা কাকে কামড়ালাম যে আমাদের এভাবে ধরে নিয়ে এল?’ প্রথম মশা বলল।
‘মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তিকে কামড়েছি। দেখিসনি, রক্তটা একটু ভিন্ন স্বাদের ছিল।’ দ্বিতীয় মশার জবাব।
‘ওটা রক্ত ছিল? ধুর শ্লা, আমি আরও ভাবছিলাম বাঙ্গির জুস খাচ্ছি। একদমই পানসে।’ তৃতীয় মশার গলায় হতাশার সুর।
পরদিন মস্ত বড় গোঁফ নিয়ে ইংরেজ জেলার আসেন মশাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে।
‘ইউ টাইনি ব্লাড সাকারস, হাউ ডেয়ার ইউ বাইট আওয়ার লর্ড?’দাঁত কটমট করে জানতে চাইলেন জেলার।
‘দুঃখিত মশাই, আমরা সবাই বাংলা মিডিয়ামের মশা। ইংরেজি বুঝি না। বাংলার ব্যবস্থা করেন।’
মশাদের উত্তর বুঝতে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা অনুবাদক হিসেবে ইংরেজদের প্রিয় ব্যক্তি মীর জাফরকে নিয়ে আসা হলো। মীর জাফরের মাধ্যমেই চলল জিজ্ঞাসাবাদ।
‘লর্ড ক্লাইভকে কামড়ানোর দায়ে যে তোদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা ফাঁসি হতে পারে, সেটা তোরা জানিস?’ জানতে চাইলেন জেলার।
‘খাওয়ার মধ্যে তো শুধু একটু রক্তই খাই। আপনাদের মতো তো আর যা পাই তা-ই চিবাই না। সেই সামান্য খাবারের দায়েও ফাঁসি? এ তো দেখছি রীতিমতো অন্নপাপ! বাপরে বাপ!’ সমস্বরে দুই মশা বলে উঠল।
‘চুপ করো। তোমরা স্যারের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছ। এর জন্য শাস্তি অবধারিত।’
‘আপনারা যে কয়েল জ্বালিয়ে, স্প্রে ছিটিয়ে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটান, সেটার দায়ে আমরা কখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেছি? এই তো সেদিন আমার গার্লফ্রেন্ড এডিসকে নিয়ে নর্দমায় বসে একটু একান্তে সময় কাটাচ্ছিলাম। কোথা থেকে কে যেন এসে স্প্রে মেরে দিল। স্প্রের আঘাতে আমার গার্লফ্রেন্ডের একটা ডানা গেল ভেঙে। কী দরকার ছিল আপনাদের ওকে ডানাকাটা পরি বানিয়ে দেওয়ার? কই, এর জন্য তো আমি আপনাদের কাউকে গ্রেপ্তার করিনি, কারও বিরুদ্ধে মামলাও করিনি।’ প্রথম মশা জবাব দিল।
আরও পড়ুনটাকাতো মারিয়াছির সঙ্গে যেভাবে আমার পরিচয় হলো২৪ আগস্ট ২০২৩‘যত বড় হুল নয় তত বড় কথা! চুপ থাকো, বেয়াদব কোথাকার।’ রেগে গেলেন জেলার।
‘শাস্তি যদি দিতেই হয়, তাহলে আমরা যা করেছি, সেই একই কাজ লর্ডকেও করতে বলুন। বলুন আমাদের কামড় দিতে। তাহলেই সমান সমান হয়ে যায়।’ দ্বিতীয় মশা প্রস্তাব দিল।
এমন সময় লর্ড ক্লাইভের আগমন ঘটল।
‘বাহ্, এমন প্রস্তাবের তারিফ না করে আর পারছি না। সেনাপতি, এদের নিয়ে আর নাটক করা লাগবে না। এখনই আমার ছেলের কাছ থেকে স্টিলের রুলারটা নিয়ে আসো। রুলার দিয়ে চটাস করে বাড়ি দিয়ে ওদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করো। এক্ষুনি!’ আদেশ দিলেন ক্লাইভ।
‘স্যার, এত চুপচাপ, বিনে পয়সায় মশা মেরে ফেললে চলবে?’ কানের কাছে ফিসফিস করে বলেন সেনাপতি। ‘এসব কাজে বড়সড় একটা প্রকল্প হাতে না নিলে হয়? প্রকল্প হবে, কথাবার্তা হবে, হাজার হাজার স্বর্ণমুদ্রা খরচ হবে…মোট কথা আওয়াজ হতে হবে। তবেই না লোকজন জানবে, লর্ড একটা কিছু করছেন…।’
সেনাপতির কথা শুনে লর্ড ক্লাইভের বুদ্ধির বাতি জ্বলে উঠল। তুড়ি দিয়ে তিনি বললেন, ‘স্পিকিং অব আওয়াজ…আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে। মশাগুলোর ওপর কামানের গোলা ছুড়লে কেমন হয়? মশা মরবে। আবার আওয়াজও হবে।’
পরদিন ঢাকঢোল পিটিয়ে কামানের মাথায় মশা দুটিকে বেঁধে কয়েক রাউন্ড গোলা ফুটিয়ে দেওয়া হলো। আশ্চর্য! একটা মশাও মরল না। বরং কামানের গোলায় বসে কোনো প্রকার ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই মশাগুলো আছড়ে পড়ল এসে বাংলাদেশে!
এভাবেই এই ‘অর্ধেক পাখি, অর্ধেক পোকা’ প্রাণীটির আগমন ঘটে ঢাকায়। সেই থেকে শুরু করে আজ ২৬৭ বছর পর এক বিশাল রাজ্যের অধিকারী এরা। কামড়ানোর দায়ে একসময় যাদের জেলে পাঠানো হতো, তারাই এখন মানুষকে কামড়িয়ে হাসপাতালে পাঠায়!
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের
এমন পারফরম্যান্সই তো চাওয়ার থাকে ভালো দলের কাছে। মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্য, সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি, তাইজুল ইসলামের ৯ উইকেট শিকারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল জয় এনে দেয় বাংলাদেশকে। প্রথম টেস্ট হারের পর যে সমালোচনা হয়েছিল, তার জবাবটা বোধ হয় দ্বিতীয় টেস্ট তিন দিনে জিতে দিয়ে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ‘বাউন্স ব্যাক’ করে সিরিজ ড্র ১-১-এ।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বীরোচিত পারফরম্যান্স ছিল টাইগারদের। এটি সম্ভব হয়েছে পছন্দের উইকেটে খেলা হওয়ায়। স্পিন ভুবনে উইকেট উৎসব করেছেন তাইজুল, মিরাজ গাঁটছড়া বেঁধে। সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি দারুণ অর্জন অধারাবাহিক ব্যাটিং লাইনআপের। এই টেস্টে ওপেনিং জুটি ভালো করেছে। লম্বা সময় পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ভালোই সঙ্গ দেন সাদমানকে। লোয়ার মিডলঅর্ডারে মিরাজের লড়াই ছিল দেখার মতো।
টেলএন্ডারদের নিয়ে রীতিমতো বাজিমাত করেছেন তিনি। শেষ ৩ উইকেটে তৃতীয় দিন ১৫৩ রান যোগ করেন। বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন ৪৪৪ রানে। ২১৭ রানের লিড থাকায় ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন দেখায়। মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সে স্বপ্ন পূরণ হয়। সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার তাঁর।
গত বছর দেশের মাটিতে টেস্টে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুটাও ভালো ছিল না। সিলেটে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে। সিরিজ বাঁচাতে চট্টগ্রামে জিততেই হতো। লক্ষ্যে পৌঁছাতে কন্ডিশনেও পরিবর্তন আনা হয়। চট্টগ্রামের উইকেটে খেলা হয় দ্বিতীয় টেস্ট। যেখানে শাসন ছিল স্পিনারদের। পছন্দের উইকেট পাওয়ায় তিন স্পিনার নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। তিনজনই দারুণ বোলিং করেন প্রথম থেকে।
দীর্ঘ বিরতির পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া অফস্পিনার নাঈম হাসান চ্যালেঞ্জ নিয়ে বোলিং করে গেছেন। বেশি উইকেট না পেলেও এক প্রান্তে ব্যাটারদের চাপে ফেলেছেন। যার সুফল তাইজুল ও মিরাজ পেয়েছেন অন্য প্রান্তে। প্রথম দিন শেষ সেশনে ব্রেক থ্রু দেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনার পরে পিক করে ৬ উইকেট শিকার করেন। জিম্বাবুয়ে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে প্রথম দিন শেষ করে। পরের দিন এক বল খেলে ওই রানেই অলআউট হয়। বাংলাদেশ ব্যাটিং শুরু করে বড় লক্ষ্য নিয়ে। সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি করায় প্রতিপক্ষকে ছাড়িয়ে যাওয়া সহজ হয়। সাদমানের সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম কিছু রান করায় ৭ উইকেটে ২৯১ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
সেদিন সংবাদ সম্মেলনে সাদমান আশা প্রকাশ করেন, মিরাজ ও তাইজুল জুটি করবেন। অষ্টম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি দু’জনের। বেশি ভালো করেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। মিরাজের সঙ্গে ১৫৬ বলে ৯৬ রানের জুটি। অভিষেক টেস্টে সাকিবের ব্যাটিং দারুণ লেগেছে অধিনায়ক শান্তর কাছে। ৮০ বলে ৪১ রান করেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা, মাথায় বল লাগার পরও বিচলিত হননি তিনি। মিরাজ ছাড়া চট্টগ্রাম টেস্টের প্রাপ্তি হিসেবে ওপেনিং জুটির ভালো খেলা, সাদমানের সেঞ্চুরি, তাইজুলের ৫ উইকেট শিকার ও সাকিবের রান করাকে মনে করেন শান্ত।
শেষের তিন উইকেটে তৃতীয় দিন প্রায় দুই সেশন ব্যাট করে বাংলাদেশ। তাইজুল, সাকিব ও হাসানকে নিয়ে ১৫৩ রান যোগ করে। মিরাজ ১০৪ রান করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে উইকেট দেন। নার্ভাস নাইটির ঘরে প্রবেশ করে কিছুটা ঝুঁকির মুখে ছিলেন মিরাজ। ৯৮ রানে পৌঁছানোর পর সেঞ্চুরি ছুঁতে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফিল্ডারের কাছে বল চলে যাওয়ায় এক রানে থামতে হয়। তখন স্ট্রাইকে হাসান থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল সবাই। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সবাই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। কখন হাসান আউট হয়ে যায়, সে ভয় কাজ করছিল হয়তো। কিন্তু হাসান ছিলেন দৃঢ়চেতা। মাসাকাদজাকে ডিফেন্স করে স্বস্তি দেন।
মিরাজ স্ট্রাইকে এসে মেদেভেরের প্রথম দুই বলে ঝুঁকি নেননি। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ও দ্বিতীয় টেস্টের সেরা খেলোয়াড় মিরাজ। প্রথম ম্যাচের উভয় ইনিংসে ৫ উইকেট করে ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে অতীতের সব পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে গেছেন। সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫ উইকেটপ্রাপ্তি, দুই হাজার রানের মাইলফলক পেয়েছেন। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২১৭ রানে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১১১ রানে। ফ্লাডলাইটের আলো জ্বেলে নির্ধারিত সময়ের বেশি খেলান আম্পায়াররা। প্রায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খেলা হয়। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটাররা তাতে আপত্তি করেননি। তাইজুল ৩, নাঈম ১ ও মিরাজ ৫ উইকেট নিলে ম্যাচ শেষ হয়।
সিলেটে প্রথম টেস্ট হারের পর চট্টগ্রামে প্রভাব বিস্তার করে খেলে ম্যাচ জেতার পরও খুশি নন অধিনায়ক শান্ত, ‘আমি টেস্ট সিরিজ ড্র করে খুশি না। কারণ, প্রথম টেস্টে আমরা একেবারেই ভালো খেলিনি। এই টেস্টে একপেশে খেলে জিতলেও সিরিজে আরও ভালো খেলা উচিত ছিল। সিরিজটি জিততে হতো।’ টাইগার দলপতি জানান, এই পারফরম্যান্স শ্রীলঙ্কা সফরে কাজে দেবে। দেশের মাটিতে স্পোর্টিং উইকেট বানিয়ে বিদেশে খেলার পরিবেশ তৈরি করছিল বিসিবি। ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হচ্ছে। কিউইদের বিপক্ষে সিলেটে ঐতিহাসিক জয় পেলেও মিরপুর থেকে হারতে শুরু করে। দেশের মাটিতে টানা ছয় হারের পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।