বিমসটেক সদস্যদের বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার আহ্বান ঢাকার
Published: 2nd, April 2025 GMT
বিমসটেকের সব সদস্য রাষ্ট্রকে বাণিজ্যসংক্রান্ত ছয়টি মৌলিক চুক্তির সময়মত চূড়ান্তকরণ নিশ্চিত করতে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন।
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আগে বুধবার (২ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকের (এসওএম) ২৫তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেখানে পররাষ্ট্রসচিব রাষ্ট্রদূত মো.
পররাষ্ট্রসচিব ‘সমুদ্র অর্থনীতিসহ বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন’ খাতের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি বক্তব্য দিয়েছেন।
তিনি বিমসটেক মুক্তবাণিজ্য অঞ্চলের কাঠামো চুক্তির বাণিজ্য ও শুল্ক বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা, বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি এবং প্রক্রিয়া, বাণিজ্য সুবিধা, বিনিয়োগ এবং পরিষেবায় বাণিজ্য সম্পর্কিত ছয়টি উপাদান চুক্তি চূড়ান্তকরণ নিশ্চিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তাদের পূর্ণ সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান।
তিনি জানান, এই অঞ্চলের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আসন্ন উচ্চ-স্তরের বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০তম বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের খসড়া এজেন্ডা আলোচনা ও চূড়ান্ত করেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে (এসওএম) ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের খসড়া এজেন্ডা ও ঘোষণা চূড়ান্ত করা হয়।
ঢাকায় বিমসটেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ২৬তম বৈঠকের আয়োজন করা হবে।
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব মসট ক সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর
বেসরকারি খাতের পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এই একীভূতকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।’
আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ব্যাংককর্মীদের আশ্বস্ত করেন, এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।
গভর্নর বলেন, কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
এ সময় পাচার করা সম্পদ উদ্ধার করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।’
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরতের পথও খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজবেন। সরকার যে পথ নির্ধারণ করবে, আদালত কিংবা এডিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।
গভর্নর আরও বলেন, দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।