ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আরও একটি হতাশাজনক ফলের মুখ দেখল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শনিবার নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়েছে দলটি। ম্যাচ শেষে কোচ রুবেন আমোরিম স্বীকার করেছেন যে সমস্যার সমাধান করতে তার হাতে বেশি সময় নেই।

২০২৩-২৪ মৌসুমে এটি ইউনাইটেডের ১৪তম হার, যা তাদের লিগ টেবিলের ১৩তম স্থানে নামিয়ে দিয়েছে। সাবেক ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড অ্যান্টনি অ্যালেঙ্গার একমাত্র গোলেই হারতে হয়েছে রেড ডেভিলদের।

হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আমোরিম বলেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না। আমিও পাব না। আমাদের দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করি, এরপর নটিংহ্যাম রক্ষণ সামলাতে আরও খেলোয়াড় নামিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আমাদের আক্রমণের গতি বাড়ানোর জন্য দ্রুত বিকল্প বের করতে হয়েছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো খেলেছি, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ দিকে সেভাবে প্রভাব রাখতে পারিনি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ব ন আম র ম

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ