নটিংহ্যামের বিপক্ষে হারের পর যা বললেন আমোরিম
Published: 2nd, April 2025 GMT
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আরও একটি হতাশাজনক ফলের মুখ দেখল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শনিবার নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়েছে দলটি। ম্যাচ শেষে কোচ রুবেন আমোরিম স্বীকার করেছেন যে সমস্যার সমাধান করতে তার হাতে বেশি সময় নেই।
২০২৩-২৪ মৌসুমে এটি ইউনাইটেডের ১৪তম হার, যা তাদের লিগ টেবিলের ১৩তম স্থানে নামিয়ে দিয়েছে। সাবেক ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড অ্যান্টনি অ্যালেঙ্গার একমাত্র গোলেই হারতে হয়েছে রেড ডেভিলদের।
হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আমোরিম বলেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না। আমিও পাব না। আমাদের দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করি, এরপর নটিংহ্যাম রক্ষণ সামলাতে আরও খেলোয়াড় নামিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আমাদের আক্রমণের গতি বাড়ানোর জন্য দ্রুত বিকল্প বের করতে হয়েছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো খেলেছি, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ দিকে সেভাবে প্রভাব রাখতে পারিনি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ব ন আম র ম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’