নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা
Published: 2nd, April 2025 GMT
নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেনের (৪৫) ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে একই ইউনিয়নের হেরাঙ্গির পোল নামক স্থানে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় জাকির হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে যায়। তবে তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জেলা শহর মাইজদী থেকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে একই ইউনিয়নের হেরাঙ্গির পোল নামকস্থানে ছয়-সাতজনের একদল দুর্বৃত্ত লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে তাঁর ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের একদল কর্মী অতর্কিতে বিএনপি নেতা জাকির হোসেনের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে হামলার কারণ এখনো তিনি জানতে পারেননি। হামলায় জাকির হোসেন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশের পৃথক দুটি দলকে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পৌঁছার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
জামালপুরে সমাজচ্যুতির ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অভিযুক্ত মাতব্বররা
জামালপুর শহরে সাতটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত মাতব্বররা। ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন পর রোববার রাতে বসে নতুন সালিশ বৈঠক। এতে সেই মাতব্বররা নিজেদের ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একসঙ্গে বসবাসের অঙ্গীকার করেন। পরে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাতটি পরিবারের বিরুদ্ধে নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।
পারিবারিক বিরোধের জের ধরে জামালপুর শহরের দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়ায় গত শুক্রবার রাতে বসে সালিশ বৈঠক। এতে ঘোষণা করা হয়, ‘মরহুম আজিজুল হক, ইসমাইল হোসেন মৌলভি, মুনসুর মিয়া, মানিক, জানিক, মজিবর ও নান্নুর পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেউ মেলামেশা, লেনদেন বা সামাজিক সম্পর্ক রাখতে পারবে না। এ নিষেধ অমান্যকারীকেও একঘরে করে দেওয়া হবে।’ পরে মাইকে এলাকাজুড়ে তা প্রচার করা হয়। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরদিন বিকেলে ইসমাইল হোসেন, মুনসুর মিয়াসহ ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ দেন। তারা জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালীরা সালিশ ডেকে একতরফাভাবে মুনসুর মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় সাত পরিবারকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দিয়ে একঘরে করে রাখা হয়েছে।
এই অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। রোববার রাত ১০টার দিকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে এলাকার কয়েকশ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষ এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অঙ্গীকার করেছে। অভিযোগকারীরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।