অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
Published: 2nd, April 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এফ এম বোরহান উদ্দিন আজ বুধবার (২ এপ্রিল) দেশটির গভর্নর জেনারেল স্যাম মোস্টান এসির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গভর্নর জেনারেলের অফিসিয়াল সেক্রেটারি জেরাল্ড মার্টিন, অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধি ক্যাটরিনা কুপার, ডেপুটি সেক্রেটারি, হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
পরিচয়পত্র পেশ শেষে তারা সংক্ষিপ্ত একান্ত আলোচনায় মিলিত হন, যেখানে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। গভর্নর জেনারেল বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে অভিনন্দন জানান এবং তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
হাইকমিশনার গভর্নর জেনারেলকে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশের জনগণের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। একইভাবে গভর্নর জেনারেল বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।
অস্ট্রেলিয়াতে হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে এফ এম বোরহান উদ্দিন ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ