শাশুড়ির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিল জামাই
Published: 2nd, April 2025 GMT
দিনাজপুরের বিরামপুরে অটোরিকশা ভাড়ায় চালাতে না দেওয়ায় শাশুড়ির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মেহেদুল নামে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে পৌর এলাকার পুর্বপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ শাশুড়ি বুলী বেগমকে (৫৫) মূমুর্ষ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়া হয়েছে। জামাইকে আটকে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিরামপুর শহরের পূর্বপাড়া এলাকার আফজাল হোসেন ও বুলি বেগম দম্পতির মেয়ে শিল্পী বেগমের সঙ্গে উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে মেহেদুলের প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে। জামাই মেহেদুল স্ত্রী শিল্পী বেগমের এক ভাইয়ের অটোরিকশা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। সম্প্রতি সেই অটোরিকশা ভেঙে শ্বশুরবাড়িতে দিয়ে আসেন। অটোরিকশার মালিক রিকশা মেরামত করে অন্য চালকের কাছে ভাড়া দিলে জামাই মেহেদুল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
বুধবার সকালে মেহেদুল তার শ্বাশুড়িকে বুলী বেগমকে মোবাইল ফোনে বাড়ির বাইরে পাকা রাস্তার ওপর ডেকে নিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। এতে বুলী বেগমের সারা শরীর আগুনে ঝলসে যায়।
পরে স্থানীয়রা বুলী বেগমকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আঙ্গুরা বেগম জানান, আগুনে বুলী বেগমের মাথা ও মুখমণ্ডল ছাড়া সারা শরীর ঝলসে গেছে।
বিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে এবং আসামিকে আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’