নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ আগেই হাতছাড়া করেছে পাকিস্তান। আজ বুধবার (০২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হার মেনেছে ৮৪ রানে। হ্যামিল্টনে নিউ জিল্যান্ড আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৯২ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে ৪১.২ ওভারে ২০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
ব্যাট হাতে পাকিস্তানের টপ অর্ডার ছিল ব্যর্থ। আব্দুল্লাহ শফিক ১, ইমাম-উল-হক ৩, বাবর আজম ১, মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫ ও সালমান আগা ৯ রান করে আউট হন।
অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ ৮০ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ ও পেসার নাসিম শাহ ৪৪ বলে ৪টি চার ও ৪ ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধান কমান। এই ম্যাচে নাসিম তার ২৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির দেখা পান। এর আগে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৪০ রানে। এই দুইজনের বাইরে তৈয়ব তাহির ১৩ ও সুফিয়ান মুকিম অপরাজিত ১৩ রান করেন।
আরো পড়ুন:
হারের পর পাকিস্তান দলের জরিমানা
আরো একটি বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে যা বললেন কোহলি
বল হাতে ফাইফার নেন নিউ জিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। তিনি ৯.
তার আগে নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসে মিচেল হেই ৭৮ বলে ৭টি চার ও ৭ ছক্কায় অপরাজিত ৯৯ রানের ইনিংস খেলেন। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নেমে মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। এছাড়া মুহাম্মদ আব্বাস ৪১, নিক কেলি ৩১, হেনরি নিকোলস ২২ রানের ইনিংস খেলেন। তাতে নিউ জিল্যান্ডের রান ২৯২ পর্যন্ত যায়।
বল হাতে পাকিস্তানের মুকিম ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। মোহাম্মদ ওয়াসিম ১০ ওভারে ৭৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট শিকার করেন ফাহিম আশরাফ, আকিফ জাভেদ ও হারিস রউফ।
অপরাজিত ৯৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন মিচেল হেই।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট ন ন র ন র ইন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’