নরসিংদীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড়
Published: 2nd, April 2025 GMT
ঈদের আনন্দকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলতে সাধারণ মানুষ ভিড় করছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। আশপাশের এলাকা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আসছেন আনন্দময় সময় কাটাতে। ঈদের দিন থেকে, গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে রয়েছে দর্শনার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি।
অন্য সময়ের মতো এবারও দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ ওয়াটার কিংডম ও ক্যাজি রিভার। নেচে গেয়ে হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠেছে তারা। নগরজীবনের কোলাহল থেকে বেরিয়ে একটু বিনোদন আশায় পরিবার নিয়ে ছুটে এসেছেন অনেকে। ডিজে মিউজিকের তালে তালে ওয়াটার কিংডমে পানির ঢেউয়ে দুলে নেচে গেয়ে আনন্দ ফূর্তি করেন শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ। চলছে হৈ-হুল্লোড়, দাপাদাপি আর আনন্দ-চিৎকার। নগরীর বাইরের এসে নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কে মনের আনন্দে চলছে ঈদ উদযাপন। এ ছাড়া এখানে এলেই দেখা মিলবে বাংলাদেশে এই প্রথম সুনামি আদলে ‘ক্যাজি রিভার’ নামে নতুন রাইডে, এখান দেখা মিলবে পদ্মা সেতুতে চলছে স্কাই ট্রেন।
উৎসবের এই আড্ডায় পরিবার পরিজন অনেকেই চড়ছেন প্যাডেল বোটে, ঘুরে ঘুরে দেখছেন ভূতের রাজ্য। এদিকে হিমালয় পর্বতের সাদৃশ্য ফেনটম হিল দেখে মুগ্ধ হচ্ছে অনেকেই।
এখানকার বেশিরভাগ রাইডগুলোতে শিশুদের অংশগ্রহণ ছিলও চোখে পড়ার মতো। শিশুদের পাশাপাশি রাইডে চড়ছেন বড়রাও। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিনোদনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার দিকে কড়া নজর রয়েছে আয়োজকদের। প্রায় ১২০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত এ পার্কটিতে বুলেট ট্রেন, ওয়াটার বোট, রোলার কোস্টার, সুইং চেয়ার, স্পিডবোট ও ভূতের রাজ্যসহ ২৫টি রাইডে চড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সব বয়সী দর্শনার্থী।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘুরতে আসা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, পরিবারের স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে ড্রিম হলিডে পার্কে ঘুরতে এসেছি। এখনো এখানে অনেক মানুষের ভিড়। তবে সব মিলিয়ে ভালো লাগছে।
ছোট্ট শিশু অংকিতা বলেন, ঘুরতে এসে অনেক ভালো লাগছে। তবে আমি ভূতের বাড়িতে যাব না, ভূতকে আমি ভয় পাই। ট্রেনে চড়ব, স্পিডবোটে ঘুরব।
মিতু সরকার বলেন, শুনেছি, এ পার্কে অনেক ভিড় হয়; তাই ঈদের আনন্দ করতে এখানে এসেছি। এখনো ভিড় আছে। তবে এখানকার পরিবেশ ও রাইডসগুলো অনেক সুন্দর। এখানে এসে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে ঈদ আনন্দ করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার থেকে আসা রাব্বি মোল্লা বলেন, ঈদের ছুটিতে আনন্দ উপভোগ করার জন্য বন্ধুদের নিয়ে এ পার্কে আসা। দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে দিন কাটাতে পেরে ভাল লেগেছে। তবে ঈদ উপলক্ষে এখানে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি সব দেখে এবারের ঈদটা অন্য রকম অনুভূতি পেলাম।
ড্রিম হলিডে পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা বলেন, দর্শনার্থীদের চাহিদার বিষয় বিবেচনায় রেখে প্রতি বছরই নতুন আকর্ষণ রাখার চেষ্টা করি। এবারও পার্ককে আরও আধুনিকায়ন করেছি। ক্যাজি রিভার সুনামির আদলে ব্যতিক্রমী নতুন রাইড সংযোজন রয়েছে। আমি আশা করি, ড্রিম হলিডে পার্কে কেউ যদি আসে তাহলে আর বিদেশে যেতে হবে না। এখানেই দর্শকরা চাহিদা মতো ঈদ আনন্দ উপভোগ করবেন। বাংলাদেশে এই প্রথম সুনামি আদলে ‘ক্যাজি রিভার’ নামে নতুন রাইড সংযোজন করেছি। পার্কটি আন্তজার্তিক মান ধরে রাখার জন্য কাজ করছি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে ড্রিম হলিডে পার্ক। প্রবেশ মূল্য ৩৫০ টাকা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নরস দ ড র ম হল ড র আনন দ পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত