প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ যুবক নিহত
Published: 3rd, April 2025 GMT
যশোরের শার্শায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (২ এপ্রিল) রাত ১০টায় যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের শার্শা স্টেডিয়ামের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শার্শা উপজেলার বৃত্তিবারীপোতা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে রাসেল হোসেন (২০) এবং একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি নম্বরবিহীন কালো রঙের মোটরসাইকেলে দুই যুবক নাভারণ থেকে বেনাপোলের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ একই দিকে যাওয়া একটি প্রাইভেটকার মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে টানা তিন দিন একই স্থানে দুর্ঘটনা, নিহত ১৬
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ
নাভারণ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনাচার্জ (ওসি) রোকনুজ্জামান বলেন, ‘‘ঘটনার পরপরই প্রাইভেটকার চালক পালিয়ে যান। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। নিহত দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’’
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’