মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার বিকেলে বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে ব্যাপক হারে শুল্কারোপ করেছেন। সব বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অনেক দেশের ওপর ব্যাপক হারে পাল্টা শুল্কও বসিয়েছেন।

নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এবার সবচেয়ে বড় আকারের শুল্কারোপের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। নতুন শুল্ক ঘোষণা করার সময় ট্রাম্প বলেন, এই শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক অংশীদারদের কয়েক দশকের অন্যায্য সম্পর্ককে সঠিক পথে আনবে এবং অন্যান্য দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করা থেকে বিরত রাখবে।

চলতি বছরের শুরুতে চীনের সব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তার ওপর এবার নতুন করে আরও ৩৪ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর বসানো হয়েছে অতিরিক্ত প্রায় ৫০ শতাংশ শুল্ক।

গতকাল হোয়াইট হাউসের বাইরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যদি আপনি চান আপনার শুল্কের হার শূন্য হোক, তবে আপনি আপনার পণ্যটি যুক্তরাষ্ট্রেই তৈরি করুন।’

গতকালের ঘোষণায় উল্লেখযোগ্যভাবে মেক্সিকো ও কানাডার নাম অনুপস্থিত ছিল। দেশ দুটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে দেশ দুটির ওপর এই শুল্কের প্রভাব পড়বে না। ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি বিশ্বের সব দেশের ওপরই কমবেশি প্রভাব ফেলবে। কানাডা ও মেক্সিকোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

এর আগে যদিও এ দুই দেশের পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে বিদেশে তৈরি গাড়িও আছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে। উদাহরণস্বরূপ, কানাডা গাড়ি ও অটোমোবাইল পণ্যের বড় উৎপাদক, যা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়। এখন থেকে এসব দেশ থেকে আমদানি করা প্রস্তুত গাড়ি ২৫ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়বে।

গুরুত্বপূর্ণ যে কয়েকটি দেশ ও অঞ্চলের ওপর সর্বোচ্চ হারে যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ইইউ (২০ শতাংশ), চীন (৩৪ শতাংশ), জাপান (২৪ শতাংশ), ভিয়েতনাম (৪৬ শতাংশ), দক্ষিণ কোরিয়া (২৬ শতাংশ), তাইওয়ান (৩২ শতাংশ), ভারত (২৭ শতাংশ), সুইজারল্যান্ড (৩২ শতাংশ), থাইল্যান্ড (৩৭ শতাংশ) ও মালয়েশিয়া (২৪ শতাংশ)।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ শ র ওপর র প কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ