বিশ্ব স্কুল দাবায় চ্যাম্পিয়ন ৭ বছরের প্রাগনিকা
Published: 3rd, April 2025 GMT
সার্বিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্কুল দাবা প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব-৭ বিভাগে সোনা জিতেছে ভারতের প্রাগনিকা। মাত্র ৭ বছর বয়সী এই বালিকা ৯ রাউন্ডের সব কটিতেই জয়ী হয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরেছে। এবারের আসরে এটিই ভারতের একমাত্র স্বর্ণপদক।
ভারত থেকে ২২ জন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিল এই প্রতিযোগিতায়। তাদের মধ্যে প্রাগনিকা ছাড়াও আরও দুজন পদক জিতেছে। অনূর্ধ্ব-৭ ওপেন বিভাগে বিজেশ দেবী এবং অনূর্ধ্ব-১১ মহিলা বিভাগে ওম এশ গোত্তুমুকালা রুপা জয় করেছেন।
প্রাগনিকার বাবা রামনাদ জানিয়েছেন, বড় বোন বরেণ্যার অনুপ্রেরণায় দাবার প্রতি আগ্রহী হয় প্রাগনিকা। বরেণ্যা গুজরাটের দাবায় ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে। করোনার সময় বোনকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় খেলতে দেখে দাবার প্রতি আকৃষ্ট হয় প্রাগনিকা। মাত্র দেড় বছরেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন তার প্রতিভারই প্রমাণ।
বরেণ্যা এখনও জাতীয় পর্যায়ে বড় সাফল্য পাননি। এ নিয়ে রামনাদ বলেন, ‘বরেণ্যা প্রথমে জেলা, পরে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হলেও জাতীয় পর্যায়ে ভালো করতে পারেনি। তবে প্রাগনিকা রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জাতীয় দাবায় রানার্সআপ হয়েছিল। এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বর্ণপদক জিতেছে।’
প্রাগনিকার সাফল্যের অন্যতম দিক ছিল অষ্টম রাউন্ডে ভারতের শ্রেয়াংসি জৈনকে হারানো। জাতীয় দাবায় রানার্সআপ হওয়ার পথে এই প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছেই হেরেছিল সে। তবে এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে শ্রেয়াংসিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ছোট্ট প্রাগনিকা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর ণ য
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।