যশোরের শার্শায় দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে শার্শা মিনি স্টেডিয়ামের সামনে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- শার্শা উপজেলার বৃত্তিবারীপোতা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে রাসেল হোসেন (২০), একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন (২২)। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মোটরসাইকেলে করে চাচা-ভাতিজা নাভারণ থেকে বেনাপোলের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বেনাপোলগামী দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার পেছন থেকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে তারা দু-জনই মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এসময় চালক প্রাইভেটকারটি নিয়ে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, শার্শা স্টেডিয়ামের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শার্শা থানায় একটি মামলা হয়েছে। প্রাইভেটকারটি জব্দের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন যশ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ