আজ বৃহস্পতিবার (০৩ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) পাকিস্তান দলকে শাস্তি দিয়েছে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে স্লো ওভার রেটের কারণে পাকিস্তান দলকে এই শাস্তি দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৪ রানে হার মানে পাকিস্তান। আর এই ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে এক ওভার কম করায় পাকিস্তান দলকে তাদের ম্যাচ ফি’র ৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইসিসির এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো এই জরিমানা আরোপ করেন। পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান দোষ স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
আইসিসির আচরণবিধির ২.
আরো পড়ুন:
হারের পর পাকিস্তান দলের জরিমানা
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন ইমরান খান
উল্লেখ্য, চলমান সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো জরিমানা গুনলো পাকিস্তান। এর আগে নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচেও স্লো ওভার-রেটের জন্য তাদের ১০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তান নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুই ওভার কম করেছিল।
আগামী শনিবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ড। যদিও স্বাগতিক দল ইতোমধ্যেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে। তবু পাকিস্তানের জন্য ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারির পর নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে জয়ের সুযোগ তাদের সামনে। শুধু তাই নয় হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চেষ্টা করবে তারা।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’