নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আম্পায়ার তালিকায় বাংলাদেশের দুজন
Published: 3rd, April 2025 GMT
আসন্ন আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আম্পায়ার তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দুই বাংলাদেশি আম্পায়ার মাসুদুর রহমান ও সাথিরা জাকির। আজ আইসিসির প্রকাশিত আম্পায়ার এবং ম্যাচ কর্মকর্তাদের তালিকায় ১০ আম্পায়ার আর ৩ ম্যাচ রেফারি আছেন।
গত কয়েক বছর ধরে আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং করেছেন মাসুদুর। ২০২০ ও ২০২৪ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপেও আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন তিনি। সাথিরা তাঁর ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত দুটি নারী ওয়ানডে ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেদিক থেকে এই প্রথম আইসিসির কোনো বড় আসরে আম্পায়ার হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে।
আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করে সুনাম কুড়িয়েছেন মাসুদুর রহমান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’