চুরি করতে এসে পোশাক ও ছবি ফেলে গেলো চোর!
Published: 4th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পাইনাদি পশ্চিম ধনুহাজি রোড এলাকায় নগদ প্রায় দুইলাখ টাকা, ৬০-৬৫ হাজার টাকার বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেটসহ দোকানের সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। তবে সংঘবদ্ধ এই চোর চক্র নিজেদের পোশাক ও ছবি ফেলেই চলে গেছে ।
এর মধ্যে রয়েছে একটি শার্ট, একটি পাঞ্জাবি, ১টি শাবল ও ব্লেড এবং পাসপোর্ট সাইজের তিনটি ছবি (যার একটি ছবি তাদের ভাড়াটিয়ারও), হাতে লেখা অনেকগুলো মোবাইল নম্বরের একটি কাগজ ও সাভার থানার মামলা নম্বরের একটি কাগজ।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী নিজামের ফ্ল্যাট বাসায় ঈদের রাত থেকে বৃহস্পতিবার আসরের মধ্যে কোন এক সময় এ চুরি সংঘটিত হয়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান, অ্যাডজাস্ট ফ্যানের জায়গা দিয়ে প্রবেশ করে ঘরের তালা ভেঙে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান, পাইনাদী পশ্চিম ধনুহাজী ব্রিজের পশ্চিমে ৪ তলা ভবন নির্মাণ করে ব্যবসায়ীর ভাই জাহাঙ্গীর। সেই বাসায় জাহাঙ্গীরসহ তিনি বসবাস করে আসছিলেন। বাসায় ৩টি ফ্ল্যাট ভাড়াও দিয়েছেন তারা।
বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর জানান, তার ভাই নিজাম ঈদের রাতে তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে বেড়াতে যান। বেড়ানো শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসায় এসে দেখেন তার ফ্ল্যাটের একটি দরজার তালা ভাঙা ও অ্যাজডাস্ট ফ্যানটি নেই। পরবর্তীতে বাসায় ঢুকে দেখেন তার বাসায় থাকা নগদ ৮৪ হাজার টাকা, প্লাস্টিকের ৩ টি ব্যাংকে (ঘরে টাকা জমানোর) থাকা আনুমানিক ৭০-৮০ হাজার টাকা, ৬০-৬৫ হাজার টাকার বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট, প্রায় ২০০ পিস কোমলপানীয়, বিস্কুট, চকলেটসহ দোকানের সরঞ্জাম চোর নিয়ে গেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, “এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, আমরা চোরদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছি।”
ঢাকা/অনিক/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’