নাকে খোঁচা দিয়ে শাস্তির মুখে বদরাগী কোচ
Published: 4th, April 2025 GMT
বাষট্টি চলছে তাঁর। এই বয়সেও তাঁর বদরাগী মেজাজ এতটুকু কমেনি; বরং দিন দিন যেন তা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। চেলসি, ম্যানইউ, টটেনহাম, রোমা ঘুরে এখন তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাখের কোচ হোসে মরিনহো। বুধবার রাতে টার্কিশ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল গালতাসারে। ইস্তাম্বুল ডার্বিখ্যাত সেই হাইভোল্টেজ ম্যাচ ২-১ হেরে প্রতিপক্ষ দলের কোচের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
ঘটনাটি বিশ্রী আকারে রূপ নেয় তখন, যখন ওকান বুরুকের নাকে দুই আঙুল দিয়ে চেপে ধরেন মরিনহো। তা নাটকীয় মোড় নেয় যখন সেই কোচ মুখ সরিয়ে নেওয়ার পর মাটিতে পড়ে যান। পুরো ঘটনায় বিরক্ত তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন। মরিনহোর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি ‘প্রতিপক্ষ কোচকে আক্রমণ’-এর অভিযোগ এনেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণ হলে ৪৫ থেকে ৯০ দিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বেন মরিনহো। ৫ থেকে ১০ ম্যাচে নিষিদ্ধও হতে পারেন এই পর্তুগিজ কোচ, যার অর্থ ফেনেরবাখের বাকি মৌসুমে আর মাঠে থাকতে পারবেন না তিনি।
ম্যাচের শেষ দিকে দুই দলের তিন খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেছেন। সব মিলিয়ে তীব্র বিতর্কের এক ডার্বি দেখেছেন তুরস্কের দর্শকরা। গেল বছর ইতালিয়ান ক্লাব রোমা থেকে তুরস্কে আসেন মরিনহো। এসেই ঝামেলায় জড়ান তিনি। গত জানুয়ারিতে এই ডার্বিতে মরিনহোর বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্য করার অভিযোগ এনেছিল গালতাসারে কর্তৃপক্ষ। তাদের খেলোয়াড় আর স্টাফদের নাকি ‘বানরের মতো লাফালাফি করছ’ বলে গালি দেন তিনি।
যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন মরিনহো, কিন্তু তাঁর মুখে বাজে মন্তব্য নতুন নয়। ২০১১ সালে বার্সার সহকারী কোচ টিটো ভিলানোভার চোখে খোঁচা মেরেছিলেন। ২০১৬ সালে চেলসির কোচ কন্তের সঙ্গে জোরে হ্যান্ডশেক করে তাঁর কানে কানে নাকি অশ্লীল কিছু বলেছিলেন। ২০২১ সালে রোমাতে এসেও ভিএআর নিয়ে রেফারির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
ডাগআউটের বাইরে কিংবা সাইড লাইনের আশপাশে তাঁর অস্থিরতা নতুন কিছু নয়। বছর কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজের দুর্ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু নিজেকে শুধরে নিতে পারেননি মরিনহো। বরং তিনি বারবার কেন এমন করেন, কোথা থেকে সাহস পান– তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গালতাসারের সহসভাপতি মেতিন ওজর্তুক।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত রস ক
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’