এবারও সাড়া ফেলেছে স্মৃতিজাগানিয়া ঈদের ‘ইত্যাদি’
Published: 4th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ টেলিভিশনের দুটি অনুষ্ঠান নব্বই দশকের ঈদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ আর ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘আনন্দমেলা’। আনন্দমেলা সেই জৌলুশ হারিয়েছে। তবে ইত্যাদির শানশওকত এখনো রয়ে গেছে। ভালোভাবেই আছে। বললে বাড়াবাড়ি হবে না, এই একটি অনুষ্ঠানই টিকে আছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকে। ঈদ আর ইত্যাদি যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে।
ঈদের ছুটিতে দর্শকের মধ্যে আনন্দ মেলে ধরে ‘ইত্যাদি’। বছরের পর বছর ঈদের পরদিন ‘ইত্যাদি’ দেখার জন্য নানা বয়সের, শ্রেণি-পেশার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। অপেক্ষা করেন কখন ইত্যাদির প্রচার শুরু হবে। কখন সেই চিরচেনা সূচনাসংগীত শুনবেন। ‘ইত্যাদি’ প্রবীণদের স্মৃতিতে যেমন দোলা দেয়, তেমনি নতুন প্রজন্মের দর্শকদের মাঝেও রয়েছে এর চাহিদা। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের যুগেও তা-ই।
এবারের ঈদেও সাড়া ফেলেছে ইত্যাদি। ঈদের পরদিন টেলিভিশনের সামনে বসে যেমন মগ্ন হয়ে দেখেছেন অগণিত দর্শক; ইউটিউবে প্রচারের পরও হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন দর্শকেরা। বিটিভিতে ঈদের পরদিন প্রচারের পর ১ এপ্রিল ফাগুন অডিও ভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড হয় অনুষ্ঠানটি। শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ইউটিউবে ৫১ লাখের বেশি ভিউ হয়েছে। ট্রেন্ডিংয়ের তালিকায় ৬ নম্বরে আছে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের অনুষ্ঠানটি। এক লাখের বেশি রিঅ্যাক্ট হয়েছে, মন্তব্য জমা হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৫টি!
ছবি: ফাগুন অডিও ভিশনের সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’