চীন মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। ১০ এপ্রিল থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে। শুক্রবার চীনা অর্থ মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে।

চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনা পণ্যের উপর মার্কিন শুল্ক ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়মের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার চীনা পণ্যের ওপর ৫৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই আরোপিত পূর্ববর্তী শুল্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে চীন আমেরিকার শুল্ক তালিকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে।

চীনের স্টেট কাউন্সিল ট্যারিফ কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই আচরণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়মের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এটি চীনের বৈধ অধিকার ও স্বার্থকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা ধমক দেওয়ার সাধারণ অভ্যাস।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ