প্রতিবেশীর বাসায় চুরির ৪ মাস পর মামলা, কারাগারে প্রেমিক-প্রেমিকা
Published: 4th, April 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রতিবেশীর বাসায় চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রেমিক-প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের আটক করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী।
গ্রেফতার হওয়া যুবক নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার গকুল নগর এলাকার হরিদাস বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস (৩৮) ও নারী একই উপজেলার দৌলতকান্দি এলাকার মোবারক খন্দকারের মেয়ে চৈতী বেগম (২৮)।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের কমলপুর র্যাব অফিস সংলগ্ন জামান মিয়ার বিল্ডিংয়ের ভাড়াটিয়া মামুনুজ্জামান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চৈতী বেগম ও সুমন বিশ্বাসকে আসামি করে ভৈরব থানা চুরির মামলা করেন। মামুনুজ্জামান ও অভিযুক্তরা একই বিল্ডিংয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। মামলা হওয়ার পর রাতেই অভিযুক্ত চৈতী ও সুমন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১০ ডিসেম্বর মামুনুজ্জামানের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময় আলমারি ভেঙে ২০ হাজার টাকা, ৩টি স্বর্ণের চেইন, ৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ১টি স্বর্ণের বেসলেট, ৩টি স্বর্ণের আংটিসহ ৩ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় চোর।
এ বিষয়ে বাদী মামুনুজ্জামান বলেন, ‘চৈতী বেগম ও সুমন বিশ্বাস আমার প্রতিবেশী। তারা এতদিন স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে থাকতেন। আমার বাসায় চুরির পর থেকে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়। তাদের কার্যকলাপ সন্দেহজনক ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে জানতে পারি, তারা স্বামী-স্ত্রী নন। এছাড়া তারা বাসা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে চৈতী ও সুমনকে আসামি করে মামলা করেছি।’
এ বিষয়ে চৈতী বেগম বলেন, ‘সুমন বিশ্বাস আমার পূর্ব পরিচিত। আমার দুটো ছেলে-মেয়ে রয়েছে। ৪ বছর আগে আমার স্বামী আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। সুমন বিশ্বাসকে আমি ছোট বেলা থেকে পছন্দ করতাম। আমার স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর আমি সুমনের সঙ্গে থাকতে শুরু করি। সুমন সনাতন ধর্মে ও বিবাহিত। যদিও তার বউয়ের সঙ্গে ৬ বছর ধরে তার কোনো সম্পর্ক নাই। আমি মুসলিম ও সে হিন্দু, তাই আমাদের বিয়ে হয়নি।’
এ দিকে চুরির অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে চৈতী বেগম বলেন, ‘আমরা চুরি করিনি। আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।’
ভৈরব থানা ওসি বলেন, ‘চুরির অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। ৪ মাস ধরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক সঙ্গে থাকছিল তারা। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ স মন ব শ ব স স বর ণ র ও স মন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’