ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড ঘটলে আমি কষ্ট পাই। ভারতকে এই ঘটনাগুলো ঠেকানোর ‘উপায়’ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে একসঙ্গে কাজ করলে শুধু অনেক পরিবারই বড় ধরনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে তা নয়, বরং আস্থা ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সাহায্য করবে।’

এর জবাবে নরেন্দ্র মোদির বলেছেন, ‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়। ভারতীয় ভূখণ্ডেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন উভয় নেতা।

 শুক্রবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ অনুরোধ জানান ড.

মুহাম্মদ ইউনূস। গত বছরের আগস্টে ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এটাই তাঁর প্রথম বৈঠক। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ৪০ মিনিটের এ বৈঠকে দুই সরকারপ্রধানের আলোচনা ছিল খুবই আন্তরিক।

বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবরগুলো অতিরঞ্জিত এবং ‘বেশিরভাগই ভুয়া’ খবর। এ বিষয়ে প্রকৃত খবর নিতে তিনি নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে সাংবাদিক পাঠানোর অনুরোধ করেন, যেন তারা এখানে এসে ‘কথিত এসব হামলার’ অনুসন্ধান করতে পারেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি দেশে ধর্মীয় ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা তৈরি করেছেন এবং তার সরকার এ ধরনের ঘটনা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে। উভয় নেতা একে অপরের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে বৈঠক শেষ করেন।

এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল উপস্থিত ছিলেন।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম ন ত হত য ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
  • সব সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে অপারেটররা
  • আগামী বছর নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
  • শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?