সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পরীমণির দাবি, ওই তরুণী তার গৃহকর্মী নয়। অসহায়ত্বের কথা বলে কাজের জন্য এসেছিল।

ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম সমকালকে বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অভিযোগের বিষয়ে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

অভিযোগের বিষয়ে পরীমণি গণমাধ্যমকে জানান, একটি এজেন্সি মারফত মেয়েটিকে পেয়েছেন তিনি। ওই এজেন্সির অনুরোধে তাকে বাড়িতে ঢুকতে দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পরই তার ওপর সন্দেহ তৈরি হয়। কারণ মেয়েটি বেশিরভাগ সময় ফোনে ব্যস্ত থাকে। কোথায় যেন ছবি ও ভিডিও পাঠায়।

পরীমণির ভাষ্য, ‘মেয়েটা চাকরির জন্য এসেছিল। খুব কান্নাকাটি করলো। বলল বের করে দিয়েন না, যে কোনো কাজ করে দেব, আমার কেউ নেই, বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে আছি। অন্তত একটা মাস থাকি। আমার দয়া হলো। কিন্তু সে ছিল প্রতিবন্ধী। কাজ করার সক্ষমতা ওর ছিল না। তবু আমি তাকে বললাম, কাজ করতে হবে না, আমার বাচ্চাদের সঙ্গে খেলবে।’

পরীমণির কথায়, ‘ওর কর্মকাণ্ডে আমার সন্দেহ হলো। দুইদিন পর পর এ সমস্যা, সে সমস্যা, শুধু টাকা চায়। ভেবেছিলাম, এসেছে যখন একমাস থাকুক। পরে যার মাধ্যমে এসেছে, তাদের জানালাম। ওকে যখনই বিদায় হতে বললাম, কান্নাকাটি শুরু করলো। পরে ১ মাসের বেতন ২০ হাজার টাকা, ঈদের বোনাস, সালামি, নতুন কাপড় দিয়ে বিদায় হতে বললাম। ভারি কিছু তুলতে পারে না, আমার ছেলেকে কোলে নিতে পারে না। এক মাসও হয়নি, ব্ল্যাকমেল শুরু করেছে।’

নির্যাতনের অভিযোগ প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, ‘আমার সংসার চলে গৃহকর্মীদের ওপরে। তাদের সঙ্গেই আমার সবকিছু। আমি তাদের ‘আপনি’, ‘আন্টি’ ছাড়া কথা বলি না। এত বছর ঢাকা শহরে থাকি, আমার গৃহকর্মী, গাড়িচালক কাউকে বদলাতে হয়নি। কারও পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। চার-পাঁচ দিনের জন্য একজন এসে অভিযোগ করা তো সন্দেহজনক। সে অসহায়ত্ব দেখালো বটে, কিন্তু সে খুব স্মার্ট। নিশ্চয়ই ওর পেছনে কেউ আছে। কারা ওকে আমার বাসায় পাঠিয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। কার কার সঙ্গে ফোনে কথা বলতো, কাকে কাকে ছবি পাঠাতো এসব তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে যাবে।’

এদিকে বৃহস্পতিবার পরীমণির বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন পিংকি আক্তার। অভিযোগটি তদন্ত করছেন ভাটারা থানার এসআই আরিফুল ইসলাম।

পুলিশের এই কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি, তবে এখনও সেটি নথিভুক্ত করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে এটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নাকি মামলা হিসেবে নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ হকর ম তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ