বাসচাপায় অটোরিকশা যাত্রী নিহত, প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ
Published: 4th, April 2025 GMT
ময়মনসিংহে বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চুরখাই পাঁচ রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে এ দুর্ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিকুল ইসলাম খান। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস গাড়িটি একটি যাত্রীবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার একজন যাত্রী নিহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। এতে সড়কের সাত কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা বাইপাস এলাকার বাসিন্দা রফিক মিয়া জানান, মহাসড়কটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। তবুও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিয়মিত এ গাড়িগুলো চলছে। এতে কিছুদিন পরপরই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা রোধে পুলিশ তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
ওসি জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
রাজবাড়ীর পাংশায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর মা ও বাবা গতকাল পৃথকভাবে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পাংশা থানায় দুটি মামলা করেন। এতে হাসমত আলী (২২) ও শিহাব মণ্ডল (২০) নামের দুই তরুণকে আসামি করা হয়। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে। মামলা করার পর পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে শিহাবকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের একজনের বয়স ১৪ বছর এবং অপরজনের বয়স ১৫ বছর।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া শেষে দুই বান্ধবী একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে তাদের পথ রোধ করে হাসমত ও শিহাব। ধারালো ব্লেড বের করে স্কুলছাত্রী দুজনকে জিম্মি করে রাস্তার অদূরে একটি পানের বরজে জোর করে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে পৃথক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই দুই তরুণ। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যান তাঁরা।
গতকাল রাতে পাংশা মডেল থানায় মামলা করতে আসা ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, হাসমত ও শিহাব ওই দুই স্কুলছাত্রীকে মাঝেমধ্যে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মা এবং অপরজনের বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতে হাসমত আলী ও শিহাব মণ্ডলকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন। রাতেই আসামি শিহাব মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি হাসমতকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
ওসি সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, গ্রেপ্তার শিহাব পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁর পোশাকেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাঁকে সোমবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে। দুই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।