হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুড়ালের কোপে বন্ধুকে হত্যা, বাবা-ছেলে আটক
Published: 4th, April 2025 GMT
কুমিল্লার তিতাসে রুবেল মিয়া (২৭) নামে এক তরুণকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুড়ালের কোপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বন্ধুর বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের গাজীপুর বাস্তহারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রুবেল মিয়া বাস্তহারার মৃত মো. আলী মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত মো. জয়নাল আবেদীন ও তার ছেলে মোহাম্মদ আলীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গাজীপুর বাস্তহারা এলাকায় ঘরে মোহাম্মদ আলী ও বন্ধু রুবেল আড্ডা দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর এক শিশু ঘরে রক্ত দেখে স্থানীয়দের জানায়। পরে লোকজন এসে রুবেলের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় মোহাম্মদ আলী ও তার বাবা জয়নাল আবেদীনকে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়র আটক করে পুলিশে খবর দেন। এ সময় একটি কুড়াল ও হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর গ্রামের শাহ আলী জানান, ‘রুবেল ও মোহাম্মদ আলী নেশা করে। ঘটনার পর মোহাম্মদ আলী বাড়ির পাশে নলকূপে গোসল করে বসে ছিল। তখন আমরা এসে তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ তাকেসহ তার বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে।’
তিতাস থানার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, ‘খরব পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য
এছাড়াও পড়ুন:
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জামায়াত-বিএনপির প্রার্থী হলেন ২ ভাই
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কুড়িগ্রাম-৪ আসন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এই আসনে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন আপন দুই ভাই। ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরো পড়ুন:
মনোনয়ন না পেয়ে হাজী ইয়াছিনের সমর্থকদের মহাসড়কে বিক্ষোভ
গভীর রাতে সীতাকুণ্ডের ৪ বিএনপি নেতা বহিষ্কার
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে প্রার্থী হিসেবে আজিজুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন বিএনপি প্রার্থীর আপন ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক। দুই ভাইয়ের এই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা এখন এলাকার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
জাতীয় সংসদের এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭১১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৯২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৯ জন। কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আসনটি ঐতিহাসিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলেরই শক্ত ঘাঁটি হিসেবে কুড়িগ্রাম-৪ দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। ফলে দুই ভাইয়ের মুখোমুখি লড়াই আসনটিকে জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত আসনে পরিণত করেছে।
এক প্রবীণ রাজনীতিক বলেন, “রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারীর ইতিহাসে এমন দৃশ্য প্রথম। ভাইয়ের বিপরীতে ভাই-এটা নির্বাচনী মাঠে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জনমনে প্রশ্ন-কে এগিয়ে থাকবেন?”
স্থানীয়রা বলছেন, দুই দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সক্রিয়তা ও প্রার্থীদের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার ওপরই নির্ভর করবে কে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবেন।
জামায়াতের প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক বলেন, “আমার বড় ভাই বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন। তিনি যদি সত্যি মনোনয়ন পেয়ে যান, তাহলেও আমাকে পরাজিত করতে পারবে না। কেননা জামায়াতের জনপ্রিয়তা এখন অনেক বেড়েছে। দুই ভাই প্রার্থী হলেও নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।”
বিএনপি প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, “আমার ছোট ভাই একসময় বিএনপি করতো। আমার কারণে সে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে জামায়াতে যোগদেন, সেই দলের প্রার্থী হয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন, “আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না করলে আমার পরিচয় এবং পারিবারিক ইমেজের কারণে আমার ছোট ভাই এককভাবে নির্বাচনে সুবিধা নিতে পারত। তবে, আমি প্রার্থী হওয়ায় সেই সুযোগ থেকে সে বঞ্চিত হলো। জনগণ আমাকেই চাইছে। তাই আমি আশা করব, আগামী নির্বাচনে দল আমাকে ফাইনাল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবে।”
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ