মানিকগঞ্জে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কার্টন থেকে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য চিত্ত রঞ্জন সরকার জানান, স্থানীয়রা শুক্রবার সকালে মিতরা-বরুন্ডী আঞ্চলিক সড়কের এগারশ্রী এলাকার বাঁশঝাড়ে একটি এসির কার্টন দেখতে পায়। পরে গ্রাম পুলিশ হোসেন আলীকে দিয়ে বাঁশঝাড় থেকে ওই কার্টন উদ্ধার করে সড়কের পাশে রাখা হয়। তবে কার্টন থেকে পচা দুর্গন্ধ ও রক্ত বের হতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে কার্টনটি খুলে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় এক মধ্যবয়সী নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। 

মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.

সালাউদ্দিন জানান, নিহতের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট কাজ করছে।  

সদর থানার ওসি এস এম আমানউল্লাহ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাতের আঁধারে অজ্ঞাত ওই নারীর মরদেহ কার্টনে ভরে বাঁশঝাড়ে ফেলে গেছে জড়িতরা। পুলিশ নিহতের পরিচয় শনাক্তসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ ক র টন মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ