মানিকগঞ্জে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কার্টন থেকে এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য চিত্ত রঞ্জন সরকার জানান, স্থানীয়রা শুক্রবার সকালে মিতরা-বরুন্ডী আঞ্চলিক সড়কের এগারশ্রী এলাকার বাঁশঝাড়ে একটি এসির কার্টন দেখতে পায়। পরে গ্রাম পুলিশ হোসেন আলীকে দিয়ে বাঁশঝাড় থেকে ওই কার্টন উদ্ধার করে সড়কের পাশে রাখা হয়। তবে কার্টন থেকে পচা দুর্গন্ধ ও রক্ত বের হতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে কার্টনটি খুলে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় এক মধ্যবয়সী নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। 

মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.

সালাউদ্দিন জানান, নিহতের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট কাজ করছে।  

সদর থানার ওসি এস এম আমানউল্লাহ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাতের আঁধারে অজ্ঞাত ওই নারীর মরদেহ কার্টনে ভরে বাঁশঝাড়ে ফেলে গেছে জড়িতরা। পুলিশ নিহতের পরিচয় শনাক্তসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ ক র টন মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ