চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৫৫ বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ৩৫ বছর বয়সী বাক্‌প্রতিবন্ধী আরেক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ দুটি ঘটনায় পৃথকভাবে সাতকানিয়া থানায় মামলা হয়। দুটি ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার আবদুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন (২২) ও সাতকানিয়া উপজেলার সফর মুল্লুকের ছেলে মো.

আজিজ (৫৫)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মো. দেলোয়ার হোসেন মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। ‌ওই নারীর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে মো. দেলোয়ার হোসেন পালিয়ে যান। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আবারও মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারীর ঘরে ঢুকে পড়েন দেলোয়ার। এ সময় ওই নারী তাঁকে দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে পিটুনি দেন। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় চৌকিদার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

এদিকে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বাক্‌প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আজিজের বিরুদ্ধে। মামলার এজাহারে বলা হয়, বাক্‌প্রতিবন্ধী ওই নারীর বসতঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণচেষ্টা করেন আজিজ। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠকে সমাধানের চেষ্টা চলে। কিন্তু সেই সালিস বৈঠকের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গতকাল রাতে নিজ বাড়ি থেকে মো. আজিজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর ভাই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি পৃথকভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ এবং বাক্‌প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের দুজনকে আজ শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ন র র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ