প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণ, আরেকজনকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
Published: 5th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ৫৫ বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া ৩৫ বছর বয়সী বাক্প্রতিবন্ধী আরেক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ দুটি ঘটনায় পৃথকভাবে সাতকানিয়া থানায় মামলা হয়। দুটি ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার আবদুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন (২২) ও সাতকানিয়া উপজেলার সফর মুল্লুকের ছেলে মো.
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মো. দেলোয়ার হোসেন মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। ওই নারীর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে মো. দেলোয়ার হোসেন পালিয়ে যান। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে আবারও মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারীর ঘরে ঢুকে পড়েন দেলোয়ার। এ সময় ওই নারী তাঁকে দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে পিটুনি দেন। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় চৌকিদার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বাক্প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আজিজের বিরুদ্ধে। মামলার এজাহারে বলা হয়, বাক্প্রতিবন্ধী ওই নারীর বসতঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণচেষ্টা করেন আজিজ। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠকে সমাধানের চেষ্টা চলে। কিন্তু সেই সালিস বৈঠকের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গতকাল রাতে নিজ বাড়ি থেকে মো. আজিজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর ভাই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি পৃথকভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ এবং বাক্প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের দুজনকে আজ শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাড়ি ভাড়া না দিতে পুলিশের মাইকিং
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া না দেওয়ার জন্য থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে কর্ণফুলী থানার পক্ষ থেকে মইজ্জ্যারটেক এলাকায় এই মাইকিং করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ ধরনের একটি ছড়িয়ে পড়েছে।
১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বসে একটি কাগজ দেখে দেখে মাইকিং করছিলেন। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আসসালামু আলাইকুম, সকল বাড়ির মালিককে জানানো যাচ্ছে, কর্ণফুলী থানা এলাকায় নতুন কেউ ভাড়াটিয়া ভাড়া নিতে এলে, সেই ভাড়াটিয়ার ভোটার আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস আগে থানায় জমা দিতে হবে। কোনো নিষিদ্ধঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধঘোষিত দলের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হয়; তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে। নির্দেশক্রমে সিএমপি, কর্ণফুলী থানা।’
মাইকিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, সরকারঘোষিত নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনকে ইঙ্গিত করা হয়নি।