কুমিল্লায় পূর্ববিরোধের জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
Published: 5th, April 2025 GMT
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বড়গাজীপুর গ্রামের বাস্তুহারা কলোনির এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
ওই যুবকের নাম রুবেল মিয়া (৩০)। তিনি তিতাস উপজেলার বড়গাজিপুর গ্রামের বাস্তুহারা কলোনির বাসিন্দা আলী মিয়ার ছেলে।
খবর পেয়ে তিতাস থানা-পুলিশ রাত আটটায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ শনিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই কলোনির বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন (৫০) ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ আলী ওরফে সুন্দর আলীকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সকালে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর ভাই দুপুরের খাবার খেয়ে নিজে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় রুবেলের বন্ধু সুন্দর আলী ভাইকে মুঠোফোনে বেলা আড়াইটার দিকে ডেকে নিয়ে যান। রাত সাতটার দিকে পরিবারের সদস্যরা খবর পান, রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। তবে পূর্ববিরোধের দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে মাদক সেবনসংক্রান্ত বিরোধ, অপরটি নারীসংক্রান্ত বিরোধ। কোনটি সঠিক, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুপিয়ে হত্যা করা রুবেলের মরদেহ জয়নাল আবেদীনের বসতঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’