বগুড়ার সাতটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল জামায়াত
Published: 5th, April 2025 GMT
বগুড়ার সাতটি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। শনিবার দুপুরে স্থানীয় শহীদ টিটু মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী, সাথী ও সদস্যদের প্রীতি সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে প্রার্থী করা হয়েছে অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিনকে, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে অধ্যক্ষ শাহাদাতুজ্জামান, বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাচিয়া) আসনে নূর মোহাম্মদ আবু তাহের, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে দবিবুর রহমান, বগুড়া-৬ (সদর) আসনে আবিদুর রহমান সোহেল এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে প্রার্থী করা হয়েছে গোলাম রব্বানীকে।
জামায়াতে ইসলামীর বগুড়া জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন হবে না। তাই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, যারা জামায়াত-শিবিরের দিকে চোখ রাঙানোর চেষ্টা করছেন তারা সাবধান হয়ে যান। এই দেশ কারও পারিবারিক সম্পত্তি নয়, এটি ১৮ কোটি মানুষের। দেশের মানুষ যাকে চাইবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে।
সরকার ও বিরোধীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যারা সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায়, তারা মূলত শেখ হাসিনার দুঃশাসনকেই ফিরিয়ে আনতে চায়। যারা নেত্রীর বাড়ির সামনে থেকে বালুর ট্রাক সরাতে সাহস পায়নি, তারাই এখন গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছে। সরকারের ভেতরে-বাইরে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। পলাতক নেত্রীর কথায় উঁকি-ঝুঁকি মারলেও লাভ হবে না। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা দেশে ফিরবেন শুধু ফাঁসির আসামি হিসেবেই।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গোলাম রব্বানী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এবং আন্তর্জাতিক ছাত্র ও যুব ফেডারেশন (ইফসু)’র সেক্রেটারি জেনারেল ড.
এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা আব্দুর রহীম ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান শেষে একটি র্যালি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “জুলাই সনদ হতে হবে, জুলাই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচন হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। নির্বাচিত যে সরকার আসুক এই সদন বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা থাকবে।”
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গাজীপুরের রাজবাড়ি সড়কে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র হতেই হবে। এর বিকল্প আমরা দেখতে চাই না। সরকার সনদের খসড়া প্রকাশ করেছে। জুলাই সনদ শুধু সংস্কার হলে হবে না, এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়ে ঐক্যমত হতে হবে।”
আরো পড়ুন:
ভাসানীরা না থাকলে শেখ মুজিব কখনো তৈরি হতেন না: নাহিদ
গণঅভ্যুত্থান না হলে নির্বাচনের স্বপ্নই দেখতে পারতেন না: নাহিদ
তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, ৫ আগস্টের আগেই অন্তবর্তীকালীন সরকার এবং সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে পারবেন। আমরা সবাই মিলে আকাঙ্ক্ষিত গণঅভ্যুত্থানের একবছর উদযাপন করতে পারব।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মুহিম, মো. মহসিন উদ্দিন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুরের সাবেক আহ্বায়ক নাবিল আল ওয়ালিদ।
এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন মোড়ে ও সমাবেশস্থলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হয়। রাজবাড়ীর সড়কে বন্ধ থাকে সব ধরনের যান চলাচল।
এর আগে, এনপিপির কেন্দ্রীয় নেতরা টাঙ্গাইলের পথসভা শেষে গাজীপুরে কালিয়াকৈরে উপজেলা হয়ে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা যান। সেখানে বিকেলে পথসভা শেষে গাজীপুর শহরের রাজবাড়িতে আসেন তারা।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ