দেশে সংস্কারের দরকার আছে : নুসরাত তাবাসসুম
Published: 5th, April 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেছেন, ‘‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বহির্বিশ্বে যে সম্মান বাংলাদেশের জন্য এনে দিচ্ছেন এবং দেশে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কাজ করে যাচ্ছেন, একটি রাজনৈতিক দলের অতি সাধারণ একটি অংশ হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, এ সমস্ত সংস্কারের দরকার আছে।’’
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে কুষ্টিয়ার আমলা সদরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘‘যারা রক্ত দিয়ে শরীরের ব্যথা নিয়ে আমাদের যে স্বাধীনতার সুখ এনে দিয়েছেন, তার কাছে এই সামান্য সম্মাননা কোনো মূল্যই রাখতে পারে না। আমরা তাদের এমন একটি বাংলাদেশ উপহার দেবো, যে বাংলাদেশে তারা অনেক ভালোবাসা পাবে, দোয়া পাবে। তবেই তাদের প্রতিদান দেওয়া সম্ভব হবে।’’
আরো পড়ুন:
ইউনূস-মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে: মির্জা ফখরুল
পরিবেশ খারাপ হয়, এমন মন্তব্য এড়িয়ে চলুন: ইউনূসকে মোদি
এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এনসিপির মিরপুর উপজেলা শাখা এবং স্থানীয় পাঠাগার ‘পাঠক সমাদর’।
এনসিপির কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি কমিটির সদস্য মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সদস্য সচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান, শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, এনসিপির মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি কমিটির সদস্য শামসুল আরেফিন স্ট্যালিন ও পাঠক সমাদরের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসির আরাফাত, জুলাই যোদ্ধা আবু সাঈদ, এস এম শফিউল ইসলাম, শাহিনুল ইসলাম ও নাহিদ হোসেন প্রমুখ।
এ সময় এনসিপির কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি কমিটির সদস্য রায়হান হাসান, মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি কমিটির সদস্য শাহীন পারভেজ, পাঠক সমাদরের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মনিরুল ইসলাম, নাজমুল খান জনি, এস এম আকাশসহ শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট র সদস য এনস প র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’