৯ দিন পর কাল খুলছে ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার
Published: 5th, April 2025 GMT
এবার ঈদে টানা ৯ দিন ছুটির কবলে পড়েছে দেশ। এই সময়ে বন্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও। শেয়ারবাজারে লেনদেনও বন্ধ। দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার সকাল থেকে খুলছে ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার। রোজার সময়ের পরিবর্তে স্বাভাবিক সূচিতে ফিরছে লেনদেনও।
গত ২৭ মার্চ ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজারের সর্বশেষ কার্যদিবসে লেনদেন হয়। এরপর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বিশেষ ছুটি মিলে আজ শনিবার পর্যন্ত বন্ধ চলছে।
স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন হয়। ব্যাংক খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। রমজান মাসে ব্যাংক লেনদেন চলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। খোলা ছিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
তবে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার সুযোগ আছে। পয়েন্ট অব সেলে (পিওএস) গিয়ে লেনদেন করা যাচ্ছে। তবে এসব সেবা নিরবচ্ছিন্ন ছিল না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের। এ সময়ে সব ধরনের ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের ব্যবস্থা চালু আছে। পাশাপাশি বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) চালু রয়েছে।
টানা ছুটির কারণে এবার ব্যাংকারদের বড় অংশ বাড়তি ছুটি নেয়নি। পাশাপাশি ব্যাংক খোলার অপেক্ষা করছেন গ্রাহকদেরও অনেকে। ফলে আগামীকাল পুরোদমে ব্যাংক–বিমা ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হবে বলে আশা করছেন খাত–সংশ্লিষ্টরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও শ য় রব জ র ল নদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যানবাহনের চাপ
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতি পথে যমুনা সেতু-সংলগ্ন মহাসড়কে তীব্র যানজট। তাই অনেকে পাবনার কাজীরহাট ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। কাজীরহাট-আরিচা ফেরিঘাটে ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন পারাপার হচ্ছে। আগের ৪টি ফেরির সঙ্গে আরও ২টি যুক্ত হওয়ায় এই নৌপথে মোট ৬টি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ও বাস কাউন্টারগুলোর সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে যানজট শুরু হয়। শুক্র ও গতকাল শনিবার যানজট তীব্রতর হয়। এর মধ্যে শনিবারের যানজটে পাবনা-ঢাকা পথে যাতায়াতকারী অনেক বাস আটকে পড়ে। এতে পাবনা, বেড়াসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঢাকাগামী বাসের সংকট দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাগামী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথের ফেরি পারাপার বেছে নেয়। এতে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত কাজীরহাট ফেরিঘাটে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনের চাপ আছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আগে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে ৪টি ফেরি চলাচল করত। ঈদ উপলক্ষে এখন আরও ২টি ফেরি বাড়িয়ে মোট ৬টি ফেরি করা হয়েছে। এগুলো হলো ২টি রো রো ফেরি শাহ আলী ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এবং ৪টি সেমি রো রো ফেরি বাইগার, গৌরী, চিত্রা ও ধানসিঁড়ি। এই ৬টি ফেরি দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহনের চাপ সামলানো যাচ্ছে। বাসসহ যানবাহনগুলোকে ফেরিঘাটে বেশি দেরি করতে হচ্ছে না।’
কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকামুখী আলহামরা পরিবহনের যাত্রী আবু হানিফ বলেন, ফেরিতে ওঠানামা মিলিয়ে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। আর আরিচা থেকে ঢাকা পর্যন্ত তেমন যানজট ছিল না। খুব ভালোভাবে ঢাকা পৌঁছাতে পেরেছেন। অথচ আরও দুই ঘণ্টা আগে রওনা দিয়েও তাঁর পরিচিত একটি পরিবারকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে ৫-৬ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়।
বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল শনিবার। আমাদের বেশ বেগ পোহাতে হলেও যানবাহনগুলো ভালোভাবে পার করে দিয়েছি। শনিবার আমাদের এই ঘাট হয়ে ফেরিতে ১০১টি বাস, ৪০১টি ছোট গাড়ি ও ৮০টি ট্রাক পার হয়েছে। আর আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫টি বাস, ১৬টি ট্রাক, ৪২টি ছোট গাড়ি ও ২০০টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে।’
বেড়া ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী আলহামরা পরিবহনের বেড়া শাখার ব্যবস্থাপক বরকত আলী বলেন, ‘যমুনা সেতুর যানজটে আমাদের কয়েকটি বাস এখনো আটকে আছে। এতে নির্ধারিত সময়ে শুধু আমাদের বাসই নয়, অন্য কোম্পানির বাসগুলোও ঢাকার উদ্দেশে ছাড়তে পারছে না। আর কোনো বাস ঢাকা থেকে বেড়া এসে পৌঁছানোর পর সেই বাস এখন থেকে আমরা কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। বতর্মান অবস্থায় এই পথে যাতায়াতে যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।’