এবার ঈদে টানা ৯ দিন ছুটির কবলে পড়েছে দেশ। এই সময়ে বন্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও। শেয়ারবাজারে লেনদেনও বন্ধ। দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার সকাল থেকে খুলছে ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার। রোজার সময়ের পরিবর্তে স্বাভাবিক সূচিতে ফিরছে লেনদেনও।

গত ২৭ মার্চ ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজারের সর্বশেষ কার্যদিবসে লেনদেন হয়। এরপর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বিশেষ ছুটি মিলে আজ শনিবার পর্যন্ত বন্ধ চলছে।

স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন হয়। ব্যাংক খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। রমজান মাসে ব্যাংক লেনদেন চলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। খোলা ছিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

তবে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার সুযোগ আছে। পয়েন্ট অব সেলে (পিওএস) গিয়ে লেনদেন করা যাচ্ছে। তবে এসব সেবা নিরবচ্ছিন্ন ছিল না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের। এ সময়ে সব ধরনের ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের ব্যবস্থা চালু আছে। পাশাপাশি বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) চালু রয়েছে।

টানা ছুটির কারণে এবার ব্যাংকারদের বড় অংশ বাড়তি ছুটি নেয়নি। পাশাপাশি ব্যাংক খোলার অপেক্ষা করছেন গ্রাহকদেরও অনেকে। ফলে আগামীকাল পুরোদমে ব্যাংক–বিমা ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হবে বলে আশা করছেন খাত–সংশ্লিষ্টরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ও শ য় রব জ র ল নদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।

শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।

এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে,   এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ