শরীয়তপুরে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে আল মামুন (৩০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার বালারবাজার সুবচনী সড়কের নয়ারাস্তা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

মারা যাওয়া আল মামুন শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের বাহেরচর এলাকার মৃত মান্নান সরদারের ছেলে। তিনি দিঘীনালা সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আল মামুন গত বুধবার ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যান। শনিবার দুপুরে তিনি মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। বালারবাজার সড়কের নয়ারাস্তায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারান। এসময় মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন আল মামুন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। 

আরো পড়ুন:

লোহাগড়ায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

মেহেরপুরে আলগামন উল্টে মৎস্যচাষি নিহত

প্রত্যক্ষদর্শী বাদল কোতোয়াল বলেন, ‍“আমি বিকট শব্দ পেয়ে দ্রুত বাসা থেকে বের হয়ে আসি। পরে দেখি এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কে পড়ে আছেন। একটি অটোরিকশায় করে আমার বড় ছেলেকে দিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠাই। পরে জানতে পারি, তিনি মারা গেছেন।”

পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় এক সেনা সদস্যের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আল ম ম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ