রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় ভাড়াটিয়া ও দোকান মালিকের দ্বন্দ্বের জের ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত লাভলু মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি রংপুর মিডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। 

শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান।

আরো পড়ুন: রংপুরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫ 

আরো পড়ুন:

রংপুরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫ 

ভারতের মদদেই হাসিনা স্বৈরাচার হয়েছেন: এ্যানি

নিহত লাভলু মিয়া বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা।

ওসি বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় আহত লাভলু মিয়াসহ ছয়জনকে আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় লাভলু মিয়া মারা যান।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ১৩ নম্বর কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক পক্ষের মধ্যে আজ দোকান ভাড়া নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, সংঘর্ষের পর বিএনপির ওই দুই নেতাসহ বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর মানিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন হত আহত বদরগঞ জ উপজ ল ব এনপ র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ