মোবাইল ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরে ধরা পড়লো ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মিথ্যা দাবি। ইসরায়েলি বাহিনী কতটা যে নৃশংস আচরণ করছে এই ফুটেজে তা ধরা পড়েছে।

গত মাসে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী  ১৫ জন ফিলিস্তিনি প্যারামেডিক এবং উদ্ধারকর্মীকে হত্যা করে। পরে তাদের লাশ একটি গর্তের মধ্যে ফেলে মাটিচাপা দেয়।

শনিবার প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, প্রায় সাত মিনিটের ভিডিওটি মৃত্যুর আগে রিফাত রাদওয়ান নামের এক প্যারামেডিক তার ফোনে ধারণ করেছিলেন। চলন্ত গাড়ির ভেতর থেকে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, লাল রঙের জরুরি পরিষেবা বাতি জ্বলছিল অ্যাম্বুলেন্সে। এছাড়া স্পষ্টভাবে চিহ্নিত অ্যাম্বুলেন্সগুলো রাতে হেডলাইট ব্যবহার করেছিল। গাড়িটি রাস্তার পাশে দাঁড় করানো আরেকটি গাড়ির পাশে থামানো হয়। দুজন লোককে গাড়ি থেকে নামানো হয়। তারপর পর্দা কালো হয়ে যাওয়ার আগে গুলি শুরু হয়।

শুক্রবার গণকবর থেকে প্যারামেডিকদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তাদের সেনারা নির্বিচারে কোনো অ্যাম্বুলেন্স আক্রমণ করেনি। বরং তাদের দিকে আসা ‘সন্দেহজনক যানবাহনে’ থাকা সন্ত্রাসীদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদভ শোশানি জানিয়েছেন, যেসব যানবাহন এলাকায় প্রবেশের জন্য পূর্ব অনুমতি পায়নি এবং লাইট নিভিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল, তাদের উপর সেনারা গুলি চালায়।

২৩ মার্চ রাফাহতে এই ঘটনায় জাতিসংঘের অন্তত একজন কর্মীসহ ১৫ জন ফিলিস্তিনি প্যারামেডিক ও উদ্ধারকর্মী নিহত হন। 

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ‘এক এক করে’ ওই ব্যক্তিদের গুলি করে এবং তারপর একটি গণকবরে সমাহিত করে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ