কু‌মিল্লার দে‌বিদ্বা‌রে ৭ বছ‌রের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবা‌কে গণ‌ধোলাই দি‌য়ে যৌথ বা‌হিনীর হা‌তে তু‌লে দি‌য়ে‌ছেন জনতা। আজ শনিবার বি‌কে‌লে পৌরসভার বা‌রেরা কা‌জী বা‌ড়ি‌ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

জামাল হো‌সেন দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুরের দক্ষিণ দারিবন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বা‌রেরায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন ও অটোরিকশাচালক। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে জামাল তার সৎ মে‌য়ে‌কে ধর্ষণ ক‌রেন। বিষয়টি সে তার মাকে জানায়। তার মা এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখান। পরদিন শিশুটি প্রতিবেশীদের জানালে শ‌নিবার বিকেলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী জামালের বাড়ি ঘেরাও করেন এবং তা‌কে গণ‌ধোলাই দি‌য়ে ঘ‌রে আট‌কে রা‌খেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে জামালকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। 

শিশুর নানা মো.

শক্কুর মিয়া জানান, দেড় মাস আগে মেয়েকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুরের দক্ষিণ দারিবন গ্রামের জামাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেই। এটি দু’জনের দ্বিতীয় বিয়ে। না‌তি‌নকে ধর্ষ‌ণের খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে আসি।

শিশুর মামা সজীব বলেন, ‘ভাগন আমাদের বাড়িতে থাকতো।  ঈদের দু’দিন আগে আমার বোন ও তার স্বামী ভাগনিকে এখানে আনে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রামবাসী আটক করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে জামাল হোসেন ও তার স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ভিকটিমকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ