ঈদের দিন সকালে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য নগরীর বিপ্লব উদ্যানে ‘সবাইকে নিয়ে ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মেয়র। স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দারুণ এ উদ্যোগে কয়েকশ শিশুর ঈদের আনন্দ আরও রঙিন হয়ে ওঠে।
একইদিন রাতে কর্ণফুলী নদীতে বে ওয়ান ক্রুজ শিপে নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে মিলনমেলার আয়োজন করেন মেয়র। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী, জি বাংলার মীরাক্কেল খ্যাত স্টান্ডআপ কমেডিয়ান কমর উদ্দিন আরমানসহ শিল্পীরা।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ভোটের অধিকার চেয়ে মেয়র বলেন, ‘নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন হয়েছে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। গত ১৫ বছর ভোটের অধিকার না থাকায় যারা মেম্বার হওয়ার যোগ্য নয় তারা এমপি হয়ে গেছে। ভোটের অধিকার না থাকার কারণে ভূমিদস্যুরা এমপি হয়ে গেছে। মানব পাচারকারীরা এমপি হয়ে গেছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এমপি হয়ে গেছে, মন্ত্রী হয়ে গেছে। ভোট দেওয়ার অধিকার আমাদের সাংবিধানিক অধিকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ২০২১ সালের ট্রাইব্যুনালের মামলায় জিতে মেয়র হয়েছি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবে। আমি আপনাদের বলতে চাই, যেদিন আমার মেয়াদ শেষ হবে আমি আর সাড়ে তিন বছরের জন্য অ্যাপ্লাই করব না। আমি ভোটের অধিকার চাইব এবং ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে আমি আমার জনপ্রিয়তা কতটুকু আছে সেটা আমি যাচাই করব ইনশাআল্লাহ। এটা আমি আজকে ঘোষণা দিতে চাই সবার সামনে। অনেকে আমাকে বলছে– আপনার তো পাঁচ বছর, যেহেতু গত মেয়রের বৈধতা নেই। আপনি কেন খামাখা সাড়ে তিন বছরে চলে যাবেন? আপনি আবার অ্যাপ্লাই করেন। আপনি পেয়ে যাবেন। আমি বলেছি, না। আমরা চাই এই ভোটের অধিকারের জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। এই ভোটের অধিকার অবশ্যই সবার থাকা উচিত। তারা নিশ্চিন্তে যাতে ভোট সেন্টারে গিয়ে এই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। আমাকে যদি আবারও মেয়র হিসেবে পছন্দ হয় আপনারা ভোট দেবেন। আর যদি আপনারা মনে করেন আমি যোগ্য নই প্রয়োজনে আমাকে আপনারা ভোট দেবেন না।’
মেয়র বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে আপনারা দেখেছেন আমরা মঠ-মন্দিরে পাহারা দিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় পাহারা দিয়েছেন। একটা হত্যাকাণ্ড অথবা কাউকে মারধর করা হয়নি। তবে, চট্টগ্রামে আলিফ হত্যাকান্ড কারা ঘটিয়েছে আপনারা জানেন। সেই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার কিছু হয়েছে, বাকীরা এখনো হয়নি। সবাইকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনতে হবে।’
১) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরবাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা.
সংবাদ প্রেরক
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ উৎসব র জন য আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।