Samakal:
2025-08-02@00:22:23 GMT

পহরচাঁদার ত্রাস ‘মদদী আজিজ’

Published: 5th, April 2025 GMT

পহরচাঁদার ত্রাস ‘মদদী আজিজ’

চকরিয়া উপজেলার পহরচাঁদা গ্রামের সবুজপাড়ার মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে মো. আবদুল আজিজ। ছোটবেলা থেকেই বখাটে স্বভাবের এই ছেলে গ্রামে ‘মদদী আজিজ’ নামে পরিচিত। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পহরচাঁদায় আওয়ামী লীগ নেতা সিআইপি সালাহউদ্দিনের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় হামলা হয়েছিল সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এপিএস সালাহউদ্দিন আহমেদের ওপর। সেই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিল এই আজিজ। 
শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে নেতৃত্ব দিয়েছে মো.

আব্দুল আজিজ, তার রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। ১০ বছর ধরে স্ত্রী জুলেখা বেগমের সহায়তায় নিজের ঘরে ইয়াবা ও চোলাই মদ ব্যবসা করে আসছে। আশপাশের কয়েক গ্রামের মাদকাসক্তদের আড্ডাখানা আজিজের বাড়ি। তার বাড়ির দক্ষিণে গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয় ও উত্তরে পহরচাঁদা সলিডারিটি মাদ্রাসা। আজিজ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মদ খেয়ে প্রায় হামলে পড়ে পাড়া-প্রতিবেশীর ঘরে, চাঁদা না দিলে হাঁড়ি-পাতিল পর্যন্ত ভাঙচুর করে, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করে। গত ১৬ মার্চ পূর্বশত্রুতার জের ধরে পহরচাঁদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাবের মাহমুদ চিশতীর পরিবারের ওপর হামলা করে মাদকাসক্ত আজিজ। ছাবেরের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. তুশিনের মাথা ফাটিয়ে দেয় আজিজ ও তার স্ত্রী জুলেখা বেগম। তারা শিক্ষক ছাবের ও তার স্ত্রী জোহুরা বেগম সুমিকে হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে, তাদের ৮ বছরের কন্যা তাজবি ছাবের নিশিকেও মারাত্মক জখম করে। পাড়া-প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে হারবাং ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাসী আজিজকে আটক করে। ওই ঘটনায় গত ১৭ মার্চ জোহুরা বেগম সুমি বাদী হয়ে মো. আব্দুল আজিজ, তার স্ত্রী জুলেখা বেগমসহ অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলা করেন (মামলা নম্বর ২৪/১২৪)। বর্তমানে আজিজ এ মামলায় জেলহাজতে আছে। 
প্রসঙ্গত, এর আগেও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও হামলার ঘটনায় মো. আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সে একাধিকবার জেলে ছিল সে। ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর পহরচাঁদার সবুজপাড়ার বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিনের পরিবারের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসী আজিজ ও তার বাহিনী। এ সময় জসিমের ভাই ইসমাইলকে ধারালো কিরিচ দিয়ে আঘাত করে জসিম। এতে ইসমাইলের হাত কেটে যায়। এই ঘটনায় জসিম উদ্দিন চকরিয়া থানায় আজিজসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০২২ সালে স্থানীয় বাতাসী বেগম নামে এক নারীকে হত্যার চেষ্টা করে আজিজ। এ ঘটনায়ও মামলা হয়।
বর্তমানে আজিজের স্ত্রী ইয়াবা ব্যবসায়ী জুলেখা বেগম ও তাদের বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষক ছাবের মাহমুদের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল শিক্ষক ছাবেরের ছেলে মো. তুশিন চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ১৭০) দায়ের করে। 
ছাবের মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, ‘এই আজিজ আসলে কেমন মানুষ সেটা আমার বলার দরকার নেই, পহরচাঁদা গ্রামের যে কোনো মানুষকে জিজ্ঞাসা করলে সেটা জানা যাবে। আজিজ যে নিজের বাড়িতে মাদক ব্যবসা করে, কথায় কথায় পাড়া-প্রতিবেশীর ওপর হামলা করে সেটা গ্রামের সবাই জানে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হামলার শিকার হলাম আমরা, এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করেছি, পুলিশ আজিজকে গ্রেপ্তার করেছে।  আজিজের স্ত্রী জুলেখা বেগম উল্টো থানায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার চেষ্টা করলেও অভিযোগের সত্যতা না থাকায় থানা তা গ্রহণ করেনি। অথচ ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত ২৩ মার্চ আজিজের স্ত্রী আদালতে আমার ও আমার সন্তানদের নামে একটি মিথ্যা ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছে। আমার মেয়ে আনিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মেধাবী ছাত্রী। মেজো ছেলে মো. আকিব চট্টগ্রাম কলেজে ইংরেজিতে অনার্স করছে। ঘটনার সময় আকিব চট্টগ্রামে অবস্থান করলেও তাকেও আসামি করা হয়েছে। আমার ভাইপো সোনা মিয়ার বাড়ি আমার থেকে ২ কিলোমিটার দূরে। তাকেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে। এখন আজিজের স্ত্রী জুলেখা বেগম টাকা দিয়ে মানুষ ভাড়া করে পুলিশের কাছে নিয়ে যাচ্ছে, আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী সাজাচ্ছে।’ এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘আসামি আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার স্ত্রী আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। আজিজের স্ত্রী জুলেখা বেগমের আদালতে দায়ের করা ফৌজদারি অভিযোগ তদন্ত করে মিথ্যা প্রমাণিত হলে ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া
হবে।’ স্থানীয় একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আজিজ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মদ খেয়ে সলিডারিটি মাদ্রাসার ছাত্রীদের সঙ্গে প্রায় অশোভন আচরণ করে। সন্ধ্যার পর গাঁজার দুর্গন্ধে আজিজের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায় না। সন্ধ্যার পর তার বাড়িতে মাদক সেবন করে স্থানীয় বখাটেরা।’
গত ২ এপ্রিল দুপুর ১২টায় সন্ত্রাসী আজিজের স্ত্রী জুলেখা বেগমের করা অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়েছিলেন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাহবুবুল আলম। তখন আজিজের প্রতিবেশী মো. বাবুল  হারবাং ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাহবুবুল আলমের উদ্দেশে অনুনয় করে বলেন, ‘স্যার, শুধু শিক্ষক ছাবের আহমেদের পরিবার নয়, আজিজের অত্যাচারে আমরাও অতিষ্ঠ। তার অত্যাচার থেকে আমাদের বাঁচান। সে মদ খেয়ে দিনরাত পাড়াপ্রতিবেশীকে গালি দেয়, কেউ কিছু বললে দা–কিরিচ ও অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। অনেক সময় অকারণে মানুষের ঘরে ঢুকে পড়ে, নারীদের সাথেও অশোভন আচরণ করে, ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।’
শিক্ষক ছাবের মাহমুদ চিশতীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী আজিজের স্ত্রী জুলেখা বেগমের ফৌজদারি অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় ৮ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) শওকত ওসমান লিখিত জবানবন্দীতে বলনে, ‘গত ১৬ মার্চ মো. আব্দুল আজিজ মদ পান করে মাতাল হয়ে নিজেই তার স্ত্রী জুলেখা বেগমকে শারীরিকভাবে মারধর করে, স্ত্রীর পিঠে, হাতে ও মুখে আঘাত করে। ওই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে আজিজের স্ত্রীকে মাস্টার ছাবের আহমদ মারধর করেছে বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শিক্ষক ছাবের আহমেদের পরিবারকে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে মো. আজিজই মদ খেয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেছে।’
এ ব্যাপারে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালেকুজ্জামান বলেন, ‘পহরচাঁদার মো. আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে পাড়াপ্রতিবেশী ও শিক্ষক ছাবের মাহমুদ চিশতীর পরিবারের উপর হামলার অভিযোগের বিচার আমি আগেও করেছি, আমার মেম্বার শওকতও করেছে। আজিজ বিচারের সময় হাতেপায়ে ধরে আর অপরাধ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু পরে সে একই অপরাধ করে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আজ জ র স ত র আজ জ ও ত র র পর ব র আজ জ র ব মদ খ য় ব গম র সদস য র ওপর ঘটন য় চকর য়

এছাড়াও পড়ুন:

ভোগবাদী যুগে ইসলামে সুখের খোঁজ

আপনার বাড়িতে কি অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের স্তূপ জমে আছে? জানেন কি, এর থেকে মুক্তির পথ আছে ইসলামের সরল জীবনধারায়? আধুনিক বিশ্বে ভোগবাদের তীব্র ঝড়ে আমরা প্রায়ই নিজেদের দেখি অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে ঠাসা ঘরে।

নতুন ফ্যাশনের পোশাক, সর্বশেষ প্রযুক্তির গ্যাজেট বা মধ্যরাতে এক ক্লিকে কেনা অপ্রয়োজনীয় পণ্য—এসব আমাদের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ইসলাম আমাদের ন্যূনতম একটি সরল জীবনধারার পথ দেখায়, যা পার্থিব লোভ থেকে মুক্ত করে আমাদের আল্লাহর পথে নিবেদিত হতে উৎসাহিত করে।

আয়েশা, তুমি যদি আমার সঙ্গে মিলিত হতে চাও, তবে এই দুনিয়া থেকে একজন পথিকের প্রয়োজনীয় জিনিসের মতো সামান্য গ্রহণ করো।সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৭,৮০০সংযম কেন জরুরি

মিনিমালিজম বা ন্যূনতাবাদ এমন একটি জীবনধারা, যেখানে আমরা শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর নির্ভর করব এবং অতিরিক্ত ভোগবিলাস থেকে দূরে থাকব। ক্রমাগত কেনাকাটার দিকে প্রলুব্ধ না হয়ে শুধু যেটুকু না হলেই জীবন চলে না, সেটুকু নিজের কাছে রাখব।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান, প্রত্যেক নামাজের সময় বেশভূষা সৌন্দর্য গ্রহণ করো, খাও এবং পান করো, কিন্তু অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আ’রাফ, আয়াত: ৩১)।

এই আয়াত আমাদের জীবনে সংযম ও সরলতার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনদুনিয়ার ভোগ–বিলাস নিয়ে সুরা তাকাসুরের সতর্কতা১০ এপ্রিল ২০২৩

বিজ্ঞাপনের প্রলোভন আজকাল আমাদের অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার দিকে ঠেলে দেয়। প্রায়ই এমন জিনিস কিনে ফেলি, যেমন একটি ইউএসবি মগ হিটার বা জামাকাপড়, যা তারপর বছরের পর বছর অব্যবহৃত পড়ে থাকে।

বাড়িতে জমে থাকে প্যাকেট না খোলা গ্লাস–বক্স, অপঠিত বইয়ের স্তূপ। প্রশ্ন করে দেখি তো, আমাদের আসলেই কি এগুলো প্রয়োজন ছিল?

মহানবী (সা.)-এর সাদাসিধা জীবন

মহানবীজি (সা.) এবং তাঁর সাহাবারা সরল জীবনযাপনের উজ্জ্বল উদাহরণ। হজরত আয়েশা (রা.)-কে নবীজি বলেছিলেন, ‘হে আয়েশা, তুমি যদি আমার সঙ্গে মিলিত হতে চাও, তবে এই দুনিয়া থেকে একজন পথিকের প্রয়োজনীয় জিনিসের মতো সামান্য গ্রহণ করো। ধনীদের সঙ্গে মেলামেশা থেকে সাবধান থাকো এবং কোনো পোশাককে তখনই জীর্ণ হয়ে গেছে মনে করো, যখন তুমি তাতে প্যাঁচ লাগিয়েছ (মানে যখন পুরোনো হয়ে যাওয়ার কারণে পেঁচিয়ে যায়)।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৭,৮০০)।

এই হাদিসে নবীজি (সা.) স্পষ্টভাবে সরল জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

উপহারের পরিবর্তে আমরা দাতব্য সংস্থায় দানের জন্য অনুরোধ করতে পারি। এমনকি আমাদের একটি অনলাইন সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে সেই অর্থ স্থানীয় মসজিদে দান করতে পারি।

ইসলাম আমাদের শেখায় যে পার্থিব সম্পদ ক্ষণস্থায়ী এবং এটি আমাদের চিরস্থায়ী জীবনের জন্য প্রস্তুতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। নবীজি (সা.) কখনো অপ্রয়োজনীয় সম্পদ সঞ্চয় করেননি এবং সব সময় দানশীলতার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ব্যয় করতে উৎসাহিত করেছেন।

দানের সংস্কৃতি

আজকের বিশ্বে ভোগবাদী সংস্কৃতি আমাদের জীবনকে জটিল করে তুলেছে। ক্রেডিট কার্ড, সহজলভ্য ঋণ এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো আমাদের ক্রমাগত কেনাকাটার দিকে প্রলুব্ধ করে। আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম, যেমন আমাদের দাদা-দাদিরা, সীমিত সম্পদের মধ্যে সরল জীবন যাপন করতেন। কিন্তু গত কয়েক দশকে বিশ্বব্যাপী মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থান এবং সহজে ঋণ পাওয়ার সুযোগ আমাদের ভোগবাদী প্রবৃত্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুনখাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে ইসলামের নির্দেশনা০৯ জুন ২০২৫

কিন্তু ইসলাম আমাদের শেখায়, প্রয়োজনের বাইরে অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় করা লোভ ও কৃপণতার দিকে নিয়ে যায়, যা একজন মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়।

ইসলাম আমাদের জীবনকে সরল করার পাশাপাশি আল্লাহর পথে ব্যয় করতে উৎসাহিত করে। আমরা চাইলে মাসিক বাজেটের একটি অংশ দানের জন্য বরাদ্দ করতে পারি।

যে ব্যক্তি নিজের সম্পদে সংযমী হয় এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যায়।সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯৯৪

বিয়ের মতো উৎসবে আমরা বিলাসবহুল আয়োজনের পরিবর্তে সরলতা বেছে নিতে পারি। উপহারের পরিবর্তে আমরা দাতব্য সংস্থায় দানের জন্য অনুরোধ করতে পারি। এমনকি আমাদের একটি অনলাইন সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে সেই অর্থ স্থানীয় মসজিদে দান করতে পারি।

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের সম্পদে সংযমী হয় এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে যায়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯৯৪)।

আমাদের ভালো কাজ এবং দানশীলতা পরকালে যেমন উপকারে আসবে, তেমনি সমাজের জন্যও হবে কল্যাণকর। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে দানশীলতার দিকে মনোযোগ দিলে সমাজের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের জীবন উন্নত হবে।

ভোগবাদী জীবন মানুষকে অস্থির করে তোলে এবং ন্যূনতম খরচের জীবনধারা মানুষকে তৃপ্তির জীবন উপহার দেয়। এটি একই সঙ্গে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনেরও একটি পথ।

আমরা যদি আমাদের অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে আল্লাহর পথে ব্যয় করি, তবে তা আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে সমৃদ্ধ করবে। ন্যূনতমবাদ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমাদের প্রকৃত সুখ পার্থিব সম্পদে নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের প্রস্তুতিতে নিহিত।

আরও পড়ুনআধুনিক এই প্রবণতার শিকড় ইসলামে২০ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ