Samakal:
2025-06-16@08:46:11 GMT

পহরচাঁদার ত্রাস ‘মদদী আজিজ’

Published: 5th, April 2025 GMT

পহরচাঁদার ত্রাস ‘মদদী আজিজ’

চকরিয়া উপজেলার পহরচাঁদা গ্রামের সবুজপাড়ার মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে মো. আবদুল আজিজ। ছোটবেলা থেকেই বখাটে স্বভাবের এই ছেলে গ্রামে ‘মদদী আজিজ’ নামে পরিচিত। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পহরচাঁদায় আওয়ামী লীগ নেতা সিআইপি সালাহউদ্দিনের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় হামলা হয়েছিল সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এপিএস সালাহউদ্দিন আহমেদের ওপর। সেই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিল এই আজিজ। 
শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে নেতৃত্ব দিয়েছে মো.

আব্দুল আজিজ, তার রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। ১০ বছর ধরে স্ত্রী জুলেখা বেগমের সহায়তায় নিজের ঘরে ইয়াবা ও চোলাই মদ ব্যবসা করে আসছে। আশপাশের কয়েক গ্রামের মাদকাসক্তদের আড্ডাখানা আজিজের বাড়ি। তার বাড়ির দক্ষিণে গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয় ও উত্তরে পহরচাঁদা সলিডারিটি মাদ্রাসা। আজিজ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মদ খেয়ে প্রায় হামলে পড়ে পাড়া-প্রতিবেশীর ঘরে, চাঁদা না দিলে হাঁড়ি-পাতিল পর্যন্ত ভাঙচুর করে, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করে। গত ১৬ মার্চ পূর্বশত্রুতার জের ধরে পহরচাঁদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাবের মাহমুদ চিশতীর পরিবারের ওপর হামলা করে মাদকাসক্ত আজিজ। ছাবেরের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. তুশিনের মাথা ফাটিয়ে দেয় আজিজ ও তার স্ত্রী জুলেখা বেগম। তারা শিক্ষক ছাবের ও তার স্ত্রী জোহুরা বেগম সুমিকে হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে, তাদের ৮ বছরের কন্যা তাজবি ছাবের নিশিকেও মারাত্মক জখম করে। পাড়া-প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে হারবাং ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সন্ত্রাসী আজিজকে আটক করে। ওই ঘটনায় গত ১৭ মার্চ জোহুরা বেগম সুমি বাদী হয়ে মো. আব্দুল আজিজ, তার স্ত্রী জুলেখা বেগমসহ অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলা করেন (মামলা নম্বর ২৪/১২৪)। বর্তমানে আজিজ এ মামলায় জেলহাজতে আছে। 
প্রসঙ্গত, এর আগেও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও হামলার ঘটনায় মো. আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সে একাধিকবার জেলে ছিল সে। ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর পহরচাঁদার সবুজপাড়ার বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিনের পরিবারের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসী আজিজ ও তার বাহিনী। এ সময় জসিমের ভাই ইসমাইলকে ধারালো কিরিচ দিয়ে আঘাত করে জসিম। এতে ইসমাইলের হাত কেটে যায়। এই ঘটনায় জসিম উদ্দিন চকরিয়া থানায় আজিজসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ২০২২ সালে স্থানীয় বাতাসী বেগম নামে এক নারীকে হত্যার চেষ্টা করে আজিজ। এ ঘটনায়ও মামলা হয়।
বর্তমানে আজিজের স্ত্রী ইয়াবা ব্যবসায়ী জুলেখা বেগম ও তাদের বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষক ছাবের মাহমুদের পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল শিক্ষক ছাবেরের ছেলে মো. তুশিন চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ১৭০) দায়ের করে। 
ছাবের মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, ‘এই আজিজ আসলে কেমন মানুষ সেটা আমার বলার দরকার নেই, পহরচাঁদা গ্রামের যে কোনো মানুষকে জিজ্ঞাসা করলে সেটা জানা যাবে। আজিজ যে নিজের বাড়িতে মাদক ব্যবসা করে, কথায় কথায় পাড়া-প্রতিবেশীর ওপর হামলা করে সেটা গ্রামের সবাই জানে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হামলার শিকার হলাম আমরা, এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করেছি, পুলিশ আজিজকে গ্রেপ্তার করেছে।  আজিজের স্ত্রী জুলেখা বেগম উল্টো থানায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার চেষ্টা করলেও অভিযোগের সত্যতা না থাকায় থানা তা গ্রহণ করেনি। অথচ ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত ২৩ মার্চ আজিজের স্ত্রী আদালতে আমার ও আমার সন্তানদের নামে একটি মিথ্যা ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছে। আমার মেয়ে আনিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মেধাবী ছাত্রী। মেজো ছেলে মো. আকিব চট্টগ্রাম কলেজে ইংরেজিতে অনার্স করছে। ঘটনার সময় আকিব চট্টগ্রামে অবস্থান করলেও তাকেও আসামি করা হয়েছে। আমার ভাইপো সোনা মিয়ার বাড়ি আমার থেকে ২ কিলোমিটার দূরে। তাকেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে। এখন আজিজের স্ত্রী জুলেখা বেগম টাকা দিয়ে মানুষ ভাড়া করে পুলিশের কাছে নিয়ে যাচ্ছে, আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী সাজাচ্ছে।’ এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘আসামি আজিজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার স্ত্রী আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। আজিজের স্ত্রী জুলেখা বেগমের আদালতে দায়ের করা ফৌজদারি অভিযোগ তদন্ত করে মিথ্যা প্রমাণিত হলে ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া
হবে।’ স্থানীয় একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আজিজ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মদ খেয়ে সলিডারিটি মাদ্রাসার ছাত্রীদের সঙ্গে প্রায় অশোভন আচরণ করে। সন্ধ্যার পর গাঁজার দুর্গন্ধে আজিজের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায় না। সন্ধ্যার পর তার বাড়িতে মাদক সেবন করে স্থানীয় বখাটেরা।’
গত ২ এপ্রিল দুপুর ১২টায় সন্ত্রাসী আজিজের স্ত্রী জুলেখা বেগমের করা অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়েছিলেন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাহবুবুল আলম। তখন আজিজের প্রতিবেশী মো. বাবুল  হারবাং ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মাহবুবুল আলমের উদ্দেশে অনুনয় করে বলেন, ‘স্যার, শুধু শিক্ষক ছাবের আহমেদের পরিবার নয়, আজিজের অত্যাচারে আমরাও অতিষ্ঠ। তার অত্যাচার থেকে আমাদের বাঁচান। সে মদ খেয়ে দিনরাত পাড়াপ্রতিবেশীকে গালি দেয়, কেউ কিছু বললে দা–কিরিচ ও অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। অনেক সময় অকারণে মানুষের ঘরে ঢুকে পড়ে, নারীদের সাথেও অশোভন আচরণ করে, ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।’
শিক্ষক ছাবের মাহমুদ চিশতীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী আজিজের স্ত্রী জুলেখা বেগমের ফৌজদারি অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় ৮ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) শওকত ওসমান লিখিত জবানবন্দীতে বলনে, ‘গত ১৬ মার্চ মো. আব্দুল আজিজ মদ পান করে মাতাল হয়ে নিজেই তার স্ত্রী জুলেখা বেগমকে শারীরিকভাবে মারধর করে, স্ত্রীর পিঠে, হাতে ও মুখে আঘাত করে। ওই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে আজিজের স্ত্রীকে মাস্টার ছাবের আহমদ মারধর করেছে বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শিক্ষক ছাবের আহমেদের পরিবারকে হয়রানির চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে মো. আজিজই মদ খেয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেছে।’
এ ব্যাপারে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ছালেকুজ্জামান বলেন, ‘পহরচাঁদার মো. আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে পাড়াপ্রতিবেশী ও শিক্ষক ছাবের মাহমুদ চিশতীর পরিবারের উপর হামলার অভিযোগের বিচার আমি আগেও করেছি, আমার মেম্বার শওকতও করেছে। আজিজ বিচারের সময় হাতেপায়ে ধরে আর অপরাধ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু পরে সে একই অপরাধ করে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আজ জ র স ত র আজ জ ও ত র র পর ব র আজ জ র ব মদ খ য় ব গম র সদস য র ওপর ঘটন য় চকর য়

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভোল পাল্টে’ সক্রিয় কিশোর গ্যাং, অতিষ্ঠ বাসিন্দারা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চর আবাবিল ইউনিয়নের উদমারা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। এলাকায় নারীদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক সেবন, মারামারি, খুনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের এসব সদস্যদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বছরের ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার ছত্রচ্ছায়ায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। তবে এখন ভোল পাল্টে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভিড়েছে তারা।

সম্প্রতি এলাকাটিতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীর আলম (৫২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন। মসজিদের পাশে জুয়ার আসর বসানো ও মাদক সেবনে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁর ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে। গত ৩ এপ্রিল তাঁর ওপর হামলা করা হয়। এরপর গত শনিবার তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন কয়েকজন স্থানীয় তরুণ। ওই তরুণেরা রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় মিছিল-সমাবেশে কিশোরদের ব্যবহার করে আসছেন। ফলে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাও এসব কিশোরকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশ্রয় দেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আগে এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ ছিল চর আবাবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম ও ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিদ্দিক সর্দারের হাতে। তাঁরা এসব কিশোরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই কিশোরেরা ভোল পাল্টে বিএনপির কর্মসূচিতে সক্রিয় হচ্ছে। আবদুর রহিম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি এসব তরুণকে নতুন করে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিচ্ছেন। রহিম ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও তাঁর পদপদবি নেই।

জাহাঙ্গীর আলম খুনের ঘটনায় আবদুর রহিমকেও আসামি করা হয়। মামলার পর তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আমি প্রশ্রয় দিচ্ছি—এমন অভিযোগ প্রায় করা হচ্ছে। তবে এসব অভিযোগ সত্য নয়। আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে।’

ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিদ্দিক সর্দার বলেন, ‘কিশোর গ্যাংকে আমি কখনো প্রশ্রয় দিইনি। তারা (কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা) আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করত।’ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম আত্মগোপনে থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির দলীয় কোনো নেতা-কর্মী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের প্রশ্রয় দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো নেতা-কর্মীর অপকর্মের দায় দল নেবে না।

জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলার ঘটনায় গত ৭ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলার আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী রাজিয়া বেগম। আদালত রায়পুর থানাকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মসজিদের আশপাশে জুয়ার আসর ও মাদক সেবন করত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এসব বিষয়ের প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে সাব্বির হোসেন, জুবায়ের হোসেনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে ৮–১০ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা করেছেন। নিহত জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে শারমিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, মামলার পর আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিয়ে আসছে।

জানতে চাইলে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন পাঠান বলেন, কিশোর-তরুণদের খেলাধুলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের ফেরাতে না পারলে অপরাধ আরও বেড়ে যাবে। কেউ যাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোরদের ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ