Samakal:
2025-08-02@05:43:50 GMT

সোনার মানুষ খাইরুল

Published: 6th, April 2025 GMT

সোনার মানুষ খাইরুল

এক যাত্রীর ফেলে দেওয়া ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ফিরিয়ে দিয়ে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক খাইরুল ইসলাম। একই সঙ্গে তিনি সরকারি শাহ সুলতান কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ালেখা করছেন। সংসারে অভাব-অনটনের কারণে পার্টটাইমে অটোরিকশা চালিয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ চালানোর পাশাপাশি সংসারে সহায়তা করে থাকেন। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ি এলাকার শাহজাহান আলী রঞ্জুর ছেলে। 

গত ২৯ মার্চ অটোরিকশা চালানোর সময় শহরতলির বনানী এলাকায় তাঁর অটোরিকশায় একটি ব্যাগ দেখতে পান। খাইরুল বুঝতে পারেন, এটি কোনো যাত্রী ভুল করে ফেলে গেছেন। ব্যাগের মালিক না পেয়ে খাইরুল ব্যাগ নিয়ে বাড়ি গিয়ে মায়ের সামনে ব্যাগ খুলে দেখেন তাতে ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১৫ হাজার টাকা আর কিছু কাপড় রয়েছে। এরপর দু’দিন ধরে মালিককে খুঁজে না পেয়ে বগুড়া সদর থানায় বিষয়টি অবগত করেন এবং স্বর্ণাংলকারসহ ব্যাগ সদর থানায় জমা রাখেন। এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, ব্যাগের মালিকের নাম শাহিন আলম। তাঁর বাড়ি পাবনায়। তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ঈদের দু’দিন আগে বগুড়ায় এসেছিলেন কেনাকাটা করতে। ওই সময় ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বনানী এলাকায় বাসের জন্য অটোরিকশায় যান। এর পর অটোরিকশায় ব্যাগ রেখেই বাসে উঠে পড়েন। 
 শাহিন আলমের সন্ধান পেয়ে খাইরুলকেও বগুড়া সদর থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই ব্যাগ। 
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বাসিন্দা শফিউর রহমানের ছেলে শাহিন আলম জানান, ভুল করে স্বর্ণালংকারসহ ব্যাগ ফেলে গিয়ে তিনি শাজাহানপুর ও বগুড়া সদর থানার দ্বারস্থ হন। ব্যাগ পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে খাইরুলকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন এবং তাঁকে পুরস্কৃত করেন তিনি।

 চালক খাইরুল ইসলাম বলেন, ব্যাগটি মস্ত বড় এক বোঝার মতো মনে হচ্ছিল। ব্যাগটি প্রকৃত মালিককে ফেরত দিতে পেরে স্বস্তি পেলাম। 
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মইনুদ্দিন বলেন, এ যুগেও যে হাজারো মানুষের ভিড়ে সৎ মানুষ আছে, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ খাইরুল ইসলাম। সততার জন্য আমি তাঁকে স্যালুট জানাই।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সতত স বর ণ ল ক র সদর থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ