পেনাল্টি-ভাগ্য ইদানীং খারাপ যাচ্ছে তাঁর। বাজিটা তাই না ধরলেই পারতেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
কিংবা অন্য কারণও হতে পারে। ভিনির সময় খারাপ যাচ্ছে জেনেই তাঁকে বাজি ধরতে প্ররোচিত করেছিলেন গিওর্গি মামারদাশভিলি। ভ্যালেন্সিয়ার এই জর্জিয়ান গোলরক্ষক সেই বাজিতে জিতেছেন। ভিনির পেনাল্টি ঠেকিয়ে শুধু ম্যাচের নায়কই হননি, রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের কাছ থেকে এখন ৫০ ইউরোও পাচ্ছেন।

আরও পড়ুনরাতে স্বপ্নে জয়াসুরিয়া-মুরালিকে পিটিয়ে পরের দিন বিশ্ব রেকর্ড আফ্রিদির২ ঘণ্টা আগে

পুরো গল্পটা না বললে অবশ্য পাঠকেরা ঠিক মজা পাবেন না। ঘটনাটা গত রাতে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ-ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচে; ঘরের মাঠে যে ম্যাচে যোগ করা সময়ে গোল খেয়ে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল। ভ্যালেন্সিয়ার জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন গোলরক্ষক মামারদাশভিলি।

ম্যাচের ১৩ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল, কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ফাউল করায় পেনাল্টি দেওয়া হয় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু ভিনিসিয়ুসের নেওয়া দুর্বল পেনাল্টি শট রুখে দেন মামারদাশভিলি।

ভিনির সঙ্গে বাজিটা মামারদাশভিলি ধরেছিলেন ওই শটের ঠিক আগে আগে। স্প্যানিশ টিভি অনুষ্ঠান ‘এল চিরিঙ্গুইতো’-তে এক সাক্ষাৎকারে মামারদাশভিলি শুনিয়েছেন সেই বাজির গল্প, ‘ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে ৫০ ইউরোর একটা বাজি ধরেছিলাম। পেনাল্টির ঠিক আগে আমি ভিনিকে বলেছিলাম, যদি সে চায় তাহলে আমরা ৫০ ইউরোতে বাজি ধরতে পারি। গোল হলে আমি ৫০ ইউরো দেব ওকে, না হলে সে আমাকে ৫০ ইউরো দেবে। আমিই জিতেছি বাজি।’

আরও পড়ুনতবে কি এল ক্লাসিকোতেই লা লিগা শিরোপার মীমাংসা২ ঘণ্টা আগে

গত মাসের মাঝামাঝি চ্যাম্পিয়নস লিগে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষেও পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ভিনি। কে জানে, সেটা মাথায় রেখেই মামারদাশভিলি ভিনিকে বাজি ধরতে প্ররোচিত করেছিলেন কি না। হয়তো মানসিকভাবে ভিনিকে চাপে রাখার একটা কৌশল ছিল এটা।

পেনাল্টি মিস করে হতাশ ভিনি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ